1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ক্লাইমেটগেট’ কেলেংকারি: হ্যাকাররা চুরি করেছে বিজ্ঞানীদের ইমেল এবং নথি

১ ফেব্রুয়ারি ২০১০

দক্ষিণ ইংল্যান্ডের ইস্ট অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাইমেটিক রিসার্চ ইউনিট থেকে বিজ্ঞানীদের শতাধিক ইমেল চুরি বা হ্যাক হয়েছে৷ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছিলেন হ্যাক হওয়া ইমেল ঠিকানার বিজ্ঞানীরা৷

https://p.dw.com/p/LokL
কোপেনহেগেন সম্মেলনের প্রতিবাদকারীরা (ফাইল ফটো)ছবি: AP

ব্রিটেনের সাবেক প্রধান বিজ্ঞানী ডেভিড কিং এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, গত বছরের শেষে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনকে অকার্যকর হিসাবে পরিচিত করার চেষ্টাতেই এই কাজ করা হয়েছে৷ আর অসাধারণ সূক্ষ্ম এই চুরির সঙ্গে বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত থাকতে পারে বলেই মনে করছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টোনি ব্লেয়ারের প্রধান বিজ্ঞান উপদেষ্টা স্যার ডেভিড কিং৷

তাঁর মতে এই কাজ যারা করেছেন, তারা অত্যন্ত বিচক্ষণ এবং প্রশিক্ষিত৷ তবে তিনি মনে করছেন, হয়তো এই কাজ ঐ হ্যাকাররা করে থাকতে পারেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু পরিবর্তন বিরোধী গ্রুপের হয়ে৷ তবে এ ক্ষেত্রে তিনি রাশিয়ার জড়িত থাকার বিষয়কে উড়িয়ে দেননি৷

এই ইমেল ঠিকানাগুলো হ্যাক হয় ঐ সম্মেলনের আগে৷ বিশেষ করে বিজ্ঞানীরা যখন জলবায়ু পরিবর্তনের ধকল সামাল দিতে কী কী করা উচিত, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করছিলেন এবং এ সব নিয়ে নিজেদের মধ্যে ইমেল চালাচালি করছিলেন, তার সকল তথ্যই হাতিয়ে নেয় ডিজিটাল চোরেরা৷ কেবল ইমেল চুরি করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা – জলবায়ু সম্মেলনে কোন ফলাফল আসবে না, এমন ধারণা সৃষ্টি করতেই নানা কাজ করেছেন তারা, একথা জানিয়ে স্যার ডেভিড কিং বলেন, এটা যে গভীর ষড়যন্ত্র, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ পুরো একটি সম্মেলনকে ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টার এই কথা প্রকাশিত হওয়ার পর এবার মাঠে নেমেছে ব্রিটেনের পুলিশ৷

ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক ‘দি ইন্ডিপেনডেন্ট’ এই সংবাদটি প্রকাশ করে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াটারগেট কেলেংকারির আদলে এই চাঞ্চল্যকর হ্যাকিং ঘটনার নামকরণ করা হয়েছে ‘ক্লাইমেটগেট কেলেংকারি’৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারের সার্ভারে ঢুকে পড়ে এই ইমেলগুলো চুরি করা হয়৷ হ্যাকাররা ইস্ট অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার থেকে এক হাজারের বেশি ইমেল ঠিকানা হ্যাক করার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ২ হাজার নথি চুরি করেছে৷ সার্ভারের যে অবস্থানে এই ইমেল ঠিকানার পাসওয়ার্ড এবং ঐ গোপন নথিগুলো রেখে দেয়া ছিল, সেখান থেকে সাধারণ কোন হ্যাকারের পক্ষে সেগুলো চুরি করা একেবারে অসম্ভব বলেই মনে করছেন স্যার ডেভিড৷ তাঁর মতে, এটা যে একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ ইমেল চুরির এই ঘটনাটি প্রথম ধরা পড়ে ১৭ নভেম্বর৷ তবে এই চুরির আগে বেশ কয়েকবার সার্ভারের বিশেষ সংকেত ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু তখন তারা সফল হয়নি৷ কিন্তু ক্রমচেষ্টার এক পর্যায়ে সফল হয় তারা৷ চলতি সময়ের সবচেয়ে বড় সাইবার ক্রাইম হিসাবেই এই ঘটনাকে চিহ্নিত করা হয়েছে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন