1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘গ্রোসে ক্লাপে' জয় করলেন শাহীন দিল-রিয়াজ

৯ নভেম্বর ২০১২

বাংলাদেশের চাঁদপুরের এক কিশোর৷ বয়স দশ বছর৷ পেশা, প্রজেকশনিস্ট৷ এই কিশোরের নিত্য দিনের নানা কর্মকাণ্ড রূপালি পর্দায় তুলে ধরেছেন শাহীন দিল-রিয়াজ৷ এই ছবিটির জন্য গ্রোসে ক্লাপে জয় করেছেন শাহীন৷

https://p.dw.com/p/16g70
ছবি: DW

রাকিব খান পেশায় প্রজেকশনিস্ট৷ সহজ করে বললে, প্রেক্ষাগৃহে সিনেমার ফিল্ম বদলানোর কাজ করেন তিনি৷ এই কাজ করে রাকিবের দিনপ্রতি আয় গড়ে ২০ বা ২৫ টাকা৷ এই টাকা সে দিয়ে দেয় মাকে, সংসার চালাতে৷ মা আর বড় ভাইকে নিয়ে রাকিবের সংসার৷ কখনো ভাইয়ের সঙ্গে খুনশুটি, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া৷ বাবা-মা আলাদা থাকেন৷ ছোট্ট রাকিবের দায়িত্ব তাই অনেক৷ মাঝে মাঝে বাজারও করতে হয় তার৷

প্রজেকশনিস্ট রাকিবের এই নিত্যদিনের ঘটনাপ্রবাহ রূপালি পর্দায় তুলে এনেছেন খ্যাতনামা প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা শাহীন দিল-রিয়াজ৷ ছবিটির জন্য প্রামাণ্যচিত্র বিষয়ক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ‘ডক্সস!'-এর ‘গ্রোসে ক্লাপে' পুরস্কার জয় করেছেন শাহীন৷ শিশু এবং তরুণ-তরুণীদের জন্য নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এই উৎসবে৷ ‘ডুইসবুর্গার ফিল্মভোখে'র অংশ হিসেবেই এই উৎসবের আয়োজন করা হয়৷

Filmstill The projectionist von Shaheen Dill-Riaz
‘রাকিব খান’ ছবির একটি দৃশ্যছবি: Shaheen Dill-Riaz

শুক্রবার ডুইসবুর্গে শাহীনের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন উৎসব কর্তৃপক্ষ৷ এসময় শাহীন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ছবিটি মাত্র শেষ হয়েছে এবং এটি খুব কম টাকায় করতে হয়েছে৷ তাড়াহুড়া করে করতে হয়েছে৷ ছবিটি সম্পর্কে আমি আদৌ নিশ্চিত ছিলাম না৷ ছেলেটাকে আমি আগে থেকে খুব বেশি ভালোভাবে চিনতাম না৷ তবে আমার প্রচণ্ড ভালো লাগছে যে সবকিছু মিলিয়ে শেষমেষ কাজটি ভালো হয়েছে৷''

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ‘রাকিব খান' ছবিটি প্রদর্শনও করা হয়৷ সেখানে উপস্থিত দর্শনার্থীর প্রায় সবাই তরুণ-যুবা৷ ছবিটির বিভিন্ন দৃশ্যের সঙ্গে সঙ্গে উপলব্ধি করা যাচ্ছিল তাদের প্রতিক্রিয়াও৷ রাকিবের আদুরি গলা যেমন তাদেরকে আকৃষ্ট করেছে, তেমনি প্রকাশ্যে মুরগি জবাইয়ের দৃশ্যে এই দর্শকদের করেছে ব্যথিত৷ প্রদর্শন শেষে ডয়চে ভেলের কাছে অনেকেই জানাতে চেয়েছেন প্রতিক্রিয়া৷ এদেরই একজন সতের বছর বয়সি রামিনালিটি৷ এই ছবি সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি এই ছবিটি পছন্দ করেছি, কেননা এতে স্বপ্নের জগতের সঙ্গে বাস্তবতার ফাঁরাক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ ছবিটির মাধ্যমে ভারত এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে আমি জানতে পেরেছি৷ এটা সত্যিই সুন্দর৷''

ডুইসবুর্গার ফিল্মভোখের পরিচালক গুডরুন সমার রাকিব খানের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন৷ তরুণ বিচারকরা এই ছবিটিকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করায় সন্তুষ্ট তিনি৷ ডয়চে ভেলেকে সমার বলেন, ‘‘আমি ছবিটি অত্যন্ত পছন্দ করেছি৷ বাচ্চারা এই ছবিটিকে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমি সন্তুষ্ট৷ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি ভালোভাবে শেষ হওয়ায় খুশি আমি৷''

প্রসঙ্গত ডক্স! হচ্ছে জার্মানির পুরনো চলচ্চিত্র উৎসব যেখানে শুধুমাত্র শিশু এবং তরুণদের জন্য নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়৷ এই উৎসবে বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র এবারই প্রথম পুরস্কৃত হয়েছে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম, ডুইসবুর্গ থেকে

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য