1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ঘরের শত্রু’ আর সাইবার হামলাই বড় উদ্বেগ

৮ সেপ্টেম্বর ২০১১

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন হুমকি হিসেবে দেখছে ‘ঘরের শত্রু’ এবং সাইবার হামলাকে৷ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো মার্কিনিদেরকে নিয়োগ করতে চাইছে সেদেশের হামলার জন্য৷ ইন্টারনেটেও তৎপর সন্ত্রাসীরা৷

https://p.dw.com/p/12UuU
ছবি: AP

মাইকেল লাইটার একটি সংস্থার প্রধান, যেটি তৈরি হয়েছিল ১১ই সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর৷ এই সংস্থার কাজ একটু ভিন্ন৷ যখন মার্কিন অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কার কথা বলে, তখন লাইটার ইয়েমেন কিংবা পাকিস্তানের দিকে তাকান না৷ তাঁর নজর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ৷ সহজ করে বললে, মার্কিন নাগরিকদের দিকেই তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন লাইটার৷ তাঁর কাজ হচ্ছে, নিজের দেশের ক্ষতি করে চাইছে এমন মার্কিনিদের সনাক্ত করা৷ জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো সন্ত্রাসী কাজে এমন মার্কিনিদেরকে নিয়োগ করতে চাচ্ছে৷ কারণ একজন মার্কিন নাগরিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্বচ্ছন্দে যেতে পারে, যেটা অন্য কোন দেশের নাগরিকের পক্ষে কষ্টসাধ্য৷

মাইকেল লাইটার তাই ব্যস্ত ‘ঘরের শত্রু' শনাক্তে৷ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটি এক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বটে৷ কেননা, ২০০৯ সালের নভেম্বরে মুসলিম সেনা মনশ্চিকিৎসক নিদাল মালিক হোসেন গুলি করে ১৩ মার্কিন সেনাকে হত্যা করে৷ টেক্সাসের ফোর্ট হুড সেনাসদরের সেই ঘটনা আলোড়ন তুলেছিল৷ অভিযোগ রয়েছে, ইয়েমেনে আত্মগোপন করে থাকা এক মার্কিন জঙ্গির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মালিক হোসেন এর৷

মার্কিনিদেরকে দলে ভেড়াতে সন্ত্রাসীরা এখন ব্যবহার করছে ইন্টারনেট৷ বিভিন্ন উগ্র ইসলামিক ফোরাম ছাড়াও ফেসবুক বড় হাতিয়ার সন্ত্রাসীদের জন্য৷ এইতো গত জুলাই মাসে পেনসিলভেনিয়া রাজ্যের ২২ বছর বয়সি এক তরুণকে আটক করে নিরাপত্তা সংস্থা৷ অভিযোগ, এই তরুণ ইন্টারনেট ধর্ম যুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন, যাতে করে মার্কিনিরা নিজের দেশে হামলা চালাতে উৎসাহী হয়৷

মার্কিন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রিক নেলসন এবং বেন বডুরিয়ান এর মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাসরতরা এবং মার্কিন নাগরিকরা বিশ্বের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর জন্য লোভনীয় সম্পদ৷

ইন্টারনেটে সন্ত্রাসী নিয়োগ রোধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে মার্কিন নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ৷ তবে, এক্ষেত্রে সফলতা খুব আশা জাগানিয়া পর্যায়ে এখনো পৌঁছায়নি৷ বরং হ্যাকারদের আক্রমণে নাজেহাল হচ্ছে বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা৷ কয়েক সপ্তাহ আগে, হ্যাকাররা হামলা চালিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের ২৪,০০০ স্পর্শকাতর ফাইল চুরি করে৷ সেদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা জ্যানেট ন্যাপোলিটানো সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধ সম্পর্কে বলেন, এই দিকে থেকে আমরা এখনো নতুন৷

তিনি বলেন, পরিস্থিতি এত দ্রুত বদলাচ্ছে যে, আমরা যখন সুনির্দিষ্ট কোন ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার নিয়ে আলোচনা শুরু করি, ততক্ষণে সেটি পুরনো হয়ে যায়৷

মার্কিন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, সাইবার আক্রমণ রোধে প্রয়োজন পরীক্ষিত ব্যক্তিদের নিয়োগ, একইসঙ্গে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন