1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
বিচার ব্যবস্থাভারত

নির্বাচনী বন্ডের তথ্য একদিনে জানাতে বললো সুপ্রিম কোর্ট

১১ মার্চ ২০২৪

নির্বাচনী বন্ডে কোন দল কার কাছ থেকে কত টাকা পেয়েছে তা একদিনের মধ্যে জানাতে হবে স্টেট ব্যাংককে। নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।

https://p.dw.com/p/4dNVZ
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
নির্বাচনী বন্ড নিয়ে কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। ছবি: picture-alliance/NurPhoto/N. Kachroo

কিন্তু স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া জানায়, তাদের এই হিসাব দিতে কিছুদিন দেরি হবে। সোমবার সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, মঙ্গলবারের মধ্যে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সব তথ্য নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে। আর নির্বাচন কমিশনকে আগামী শুক্রবারের মধ্যে সব তথ্য তাদের সরকারি ওয়েবসাইটে তুলে দিতে হবে। সাধারণ মানুষ সেই তথ্য জানতে পারবেন।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ বলে, ''আপনারা ২৬ দিন সময় পেয়েছেন, এতদিন কী করছিলেন? একদিনের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে।''

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল যে, নির্বাচনী বন্ড অসাংবিধানিক এবং ক্ষতিকর। অবিলম্বে বন্ড বন্ধ করার নির্দেশ দেয় তারা।

সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোন দল কত টাকা পেয়েছে, সেটাও প্রকাশ করতে হবে।

এরপরই স্টেট ব্যাংক জুন মাস পর্যন্ত সময় চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, ''মঙ্গলবারের মধ্যে যদি তারা তথ্য জমা না দেয়, তাহলে ইচ্ছাকৃতভাবে আদালত অবমাননা বলে মনে করা হবো।'' এছাড়া স্টেট ব্যাংকের এমডি ও চেয়ারম্যানকে হলফনামা দিতে হবে।

বিরোধীদের অভিযোগ, নির্বাচনী বন্ড থেকে বিজেপি সবচেয়ে বেশি টাকা পেয়েছে। তারা গত ছয় বছরে কত টাকা পেয়েছে, তা সামনে এলে ক্ষমতাসীন দল বিপাকে পড়বে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের ফলে এবার পুরো হিসাব পাওয়া যাবে বলে তারা এখন মনে করছেন।

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের অভিযোগ, ''স্টেট ব্যাংকের উদ্দেশ্য স্পষ্ট। তারা মোদী সরকারের বেআইনি কাজ গোপন করে রাখতে চাইছে। সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে বিজেপিকে কারা টাকা দিয়েছে সেই তালিকা প্রকাশ পাবে। মোদী সরকারের বেআইনি লেনদেন সম্পর্কে জানা যাবে। এটাও মানুষ বুঝতে পারবেন, শিল্পপতিরা কেন বিজেপি-কে এত চাঁদা দিয়েছেন।''

এই নির্বাচনী বন্ডের ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল, কোম্পানিগুলি নাম গোপন রেখে রাজনৈতিক দলকে চাঁদা দিতে পারবে। কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা স্টেট ব্যাংকের মাধ্যমে নির্দিষ্ট অংকের বন্ড কিনতে পারতো এবং রাজনৈতিক দলগুলি তা ভাঙিয়ে নিতে পারত। মোদী সরকারের দাবি ছিল, মূলত, কালো টাকা লেনদেন বন্ধ করার জন্য এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল।

ভারতের স্টেট ব্যাংকের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী হরিশ সালভে। তিনি বলেন, স্টেট ব্যাংক নির্বাচনী বন্ডের বিষয়টি তাদের কোর ব্যাংকিংয়ের বাইরে রেখেছিল। তাই নির্দেশ পালন করতে তাদের আরো সময় দরকার। তাছাড়া ব্যাংককে বলা হয়েছিল, এই তথ্য গোপন থাকবে।

প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন, ''আদালতে জানানো হয়েছে, নামগুলি সিলবন্ধ খামে করে ব্যাংকের মুম্বই ব্রাঞ্চে রাখা হয়েছে।'' বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, ''আপনাদের শুধু খাম খুলতে হবে এবং তথ্য দিতে হবে।''

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)