1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘প্রত্যাশা নিয়ে নয়, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতেই এসেছি'

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১৪ নভেম্বর ২০১২

মিয়ানমারের গণতন্ত্রবাদী বিরোধী নেত্রী অং সান সু চি আজ নতুন দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন৷ সরকারি সূত্রে বলা হয়, মিয়ানমারে জাতীয় সমঝোতা ও গণতন্ত্রায়নের ইস্যু নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়৷

https://p.dw.com/p/16j4p
ছবি: Reuters

মিয়ানমারের ন্যাশনাল লিগ অফ ডেমোক্র্যাসির চেয়ারপার্সন গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি আজ প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর সঙ্গে একটি বৈঠকে মিলিত হন৷ পরে আরো কিছু সময় একান্তে আলোচনা করেন৷ সরকারি সূত্রে বলা হয়, মিয়ানমারে রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং গণতন্ত্রায়ন প্রক্রিয়াকে ঘিরে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে৷ উভয়ে একমত যে, দু'দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো বিশেষ জরুরি৷ জরুরি দু'দেশের সংসদ ও বিচার বিভাগের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা৷

প্রধানমন্ত্রী ড. সিং সু চি-র লড়াকু মানসিকতা ও দুর্জয় সাহসের প্রশংসা করে বলেন, গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে আপনার জন্য রইলো ভারতের শুভেচ্ছা৷ ভারত সফরে তাঁর প্রত্যাশা কী জানতে চাইলে অং সান সু চি সাংবাদিকদের বলেন, প্রত্যাশার মধ্যে থাকে একটা স্বার্থপরতার গন্ধ৷ তাই আমি কোনো প্রত্যাশা নিয়ে আসিনি৷ এসেছি দু'দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো মজবুত করার বার্তা নিয়ে৷ কিছু জিনিস পাল্টায়, কিছু পাল্টায় না৷ তিনি বলেন, মিয়ানমারে গণতন্ত্রের পথ মসৃণ নয়৷ প্রচুর বাধা আছে৷ ২০০৮ সালের সংবিধান সামরিক শাসন ঘেঁষা৷ তাই বেশি কিছু আশা করা যায় না৷

Aung San Suu Kyi in Indien
দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে অং সান সু চিছবি: Reuters

২০১৫ সালের নির্বাচনে জিতলে সু চি-র প্রেসিডেন্ট হবার সম্ভাবনা কতটা – সে সম্পর্কে বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ইমনকল্যাণ লাহিড়ি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘জনগণ হয়ত চাইবে অং সান সু চি-র মতো একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নেত্রীকে প্রেসিডেন্ট পদে বসাতে৷ কিন্তু সামরিক শাসক সরাসরি ক্ষমতা ছাড়বে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় আছে৷ তবে প্রক্রিয়া চলবে৷''

এর আগে আজ সকালে অং সান সু চি গান্ধী-নেহেরুর সমাধিস্থল রাজঘাট ও শান্তিবনে যান শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করতে৷ আজ সন্ধ্যায় তিনি জহরলাল নেহেরু স্মারক বক্তৃতা দেন৷ উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে তাঁকে নেহেরু পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় আন্তর্জাতিক সমঝোতায় বিশেষ অবদানের জন্য৷ অবশ্য তিনি দিল্লি আসতে পারেন নি গৃহবন্দি থাকার কারণে৷ সে সময় মিয়ানমারের সামরিক সরকার তাঁকে গৃহবন্দি রেখেছিল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য