1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে অধিকার, ‘অধিকারহীনতা’ ও অসচেতনতা

সুলাইমান নিলয় ঢাকা
২৬ আগস্ট ২০২২

হাঁস-মুরগীকে উল্টো করে বেঁধে পা ধরে ঝুলিয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিলে কি কোনো সমস্যা আছে? বাবা-মা কি সন্তানকে মারতে পারে?

https://p.dw.com/p/4G5ie
ছবি: bdnews24.com

পুলিশ কি কোনো অপরাধীকে ধরে বা রিমান্ডে নিয়ে মারতে পারে? মেয়েরা কি বাবার বাড়ির সম্পদের আইন স্বীকৃত অংশটুকু ঝামেলা ছাড়াই বুঝে পায়?

এ রকম নানা প্রশ্ন করলে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার বিষয়ক সচেতনতার মাত্রা ফুটে উঠবে৷ নানা অধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা বলছেন, বাংলাদেশের মানুষ অনেক সময় নানা অধিকারের বিষয়ে সচেতনই নয়৷ আবার কখনো কখনো অধিকারের বিষয়টা জানা থাকলেও অবকাঠামোগত-প্রাতিষ্ঠানিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক বাধার কারণে সেটা তারা আদায় করতে পারেন না৷

প্রাণীর অধিকার

সম্প্রতি হাওয়া সিনেমা নিয়ে প্রাণীর অধিকার বিষয়ক আলোচনা প্রাণীর অধিকার ও বাংলাদেশে তার বাস্তব অবস্থার দিকে ফের নজর ফিরিয়েছে৷ একটি শালিককে খাঁচায় বন্দি করে রাখা এবং মাংস খাওয়ার দৃশ্য দেখানোর কারণে বিষয়টি এখন গড়িয়েছে আদালতে৷

ভবিষ্যতের এই আইনি লড়াইয়ের মাঝে এর পক্ষে-বিপক্ষে অনলাইনে-অফলাইনে সরব হয়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ৷

প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা একদল প্রাণী অধিকার কর্মী, সরকারের বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট এ বিষয়ে ব্যবস্থা চান হাওয়া সিনেমা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে৷ অন্যদিকে এর সমালোচনাও হচ্ছে অনেক৷ সাধারণ মানুষ থেকে সিনেমাপ্রেমীরা বলছেন, এটা চিন্তার স্বাধীনতার লঙ্ঘন৷

‘হাওয়া’র নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন সম্প্রতি বলেছেন, ‘‘নতুন সিনেমা নিয়ে যখন ভাবতে যাই, প্রথম মাথায় আসে এটা করা যাবে না, ওটা বলা যাবে না৷ আমরা মজা করে বলে থাকি, এখন ফুল-পাখি-লতা-পাতা নিয়ে সিনেমা বানাতে হবে৷

‘‘কিন্তু যে বাস্তবতায় দাঁড়িয়েছি, এখন তো পাখি নিয়েও সিনেমা বানানো যাবে না৷’’

সিনেমার পক্ষে দাঁড়ানো অনেকের মতে, আইনে কঠোরতা থাকলেও হাওয়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ অতি উৎসাহ দেখাচ্ছে৷  কেউ কেউ আবার বলছেন, কর্তৃপক্ষের উচিত একটি ডিসক্লেইমার যোগ করে দিয়ে হাওয়াকে ছেড়ে দেয়া৷

এই আলোচনার মধ্যেই সকল খাঁচাবন্দি প্রাণীর মুক্তির দাবিতে নিজেই খাঁচাবন্দি হয়েছেন সাংবাদিক হোসেন সোহেল৷

হোসেন সোহেল
হোসেন সোহেলছবি: privat

প্রাণী অধিকারকে তিনি আরো ব্যাপক জায়গা থেকে দেখতে চান৷

ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘প্রাণী অধিকার, সংরক্ষণ-এই শব্দগুলো বাংলাদেশে নতুন৷ কাউকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, তিনি হয়ত বলবেন, প্রাণী অধিকার আবার কী? প্রাণীর আবার অধিকার আছে নাকি?’’

বন্য প্রাণীর অধিকার সংরক্ষণে ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন করা হয়৷ পরে ২০১৯ সালে প্রাণিকল্যাণ আইন হয়৷

এই দুই আইনের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী থেকে শুরু করে গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগীর অধিকার সংরক্ষিত হয় বলে মনে করেন হোসেন সোহেল৷

তিনি বলেন, ‘‘গরু পরিবহনের সময় চোখে মরিচ দিয়ে দিচ্ছি, পিটাচ্ছি, ঘোড়াকে যেখানে সেখানে পিটাচ্ছি, ফেলে দিচ্ছি, কুকুরকে পিটাচ্ছি, বিড়ালকে ছাদ থেকে ফেলে দিচ্ছি, মুরগীকে পা উল্টো করে ধরে ফেরি করছি- এ সব কিছুইকেই কিন্তু শাস্তিযোগ্য করা হয়েছে৷ এ সব আছে প্রাণিকল্যাণ আইনে৷’’

‘‘আবার বনের প্রাণীকে ধরা যাবে না, মারা যাবে না, বেচাকেনা করা যাবে না, পাচার করা যাবে না- এগুলো ২০১২ সালের আইনে৷’’

তবে এখানে সচেতনতার বিষয়গুলো বন বিভাগ প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারছে না বলে মনে করেন এই সাংবাদিক-অ্যাক্টিভিস্ট৷

তিনি বলেন, ‘‘গতকালও একটা হাতি মারা গেছে৷ এখানে দুই রকম মামলা হতে পারে৷ হাতি কখনো পোষ মানে না৷ আপনি যাকে পোষ মানা হাতি বলছেন, তাকে যদি বন্য পালের সাথে ছেড়ে দেন, তাহলে সে কিন্তু বন্য পালের সাথেই চলে যাবে৷’’

‘‘এখন হাতিটিকে আপনি আটক করলেন, এটা একটা অপরাধ করলেন৷ আবার তাকে দিয়ে কাঠ টানাচ্ছেন, নির্যাতন করছেন, নিষ্ঠুর আচরণ করছেন৷ এই বিষয়টা (দেখাশোনার) দায়িত্ব বনবিভাগের হাতে৷ কিন্তু তারা কতটা আইন প্রয়োগ করছেন?’’

‘‘সবকিছু বন বিভাগের দোষ- সেটাও আবার হয়ত ঠিক না৷ কিন্তু জনগণকে ন্যূনতম সচেতন করার পদক্ষেপ তো বনবিভাগকে নিতে হবে৷’’

তিনি বলেন, ‘‘চিড়িয়াখানা কেউ ইচ্ছা করলেই বানাতে পারেন না৷ অনেক এমপি-মন্ত্রী শখ করে তাদের বাড়িতে প্রাণী বন্দি করে রেখেছেন৷ বাংলো বাড়ি- এ বাড়ি ও বাড়ি৷ এরা ক্ষমতাধর বলে বন বিভাগ এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না৷ তাহলে তো আইন সবার জন্য সমান হলো না৷’’

অধিকার সচেতনতায় মানবাধিকার

প্রাণীর অধিকারের সাম্প্রতিক বিতর্কে নানা স্থানে এসেছে মানবাধিকারের আলোচনাও৷ এই ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবাধিকারের নানা জায়গায় সমস্যা রয়ে গেছে বাংলাদেশে৷ কোথাও কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘন বা অধিকার বঞ্চনাই যেন স্বাভাবিক হয়ে গেছে৷

প্রতিবন্ধীদের অধিকার

বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী, অর্থাৎ ‘বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন’ ব্যক্তিদের অধিকার নিয়ে দুই দশকের বেশি সময় ধরে নানাভাবে কাজ করছেন সাজিদা ইসলাম ড্যানি৷ তিনি প্রতিবন্ধী শিশুদের পিতা-মাতাকে নিয়ে গঠন করেছেন একটি ফোরাম৷ আরেকটি সংস্থা গড়ে তুলেছেন ‘স্পেশালি ব্লেসড’ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে৷ 

সাজিদা ইসলাম ড্যানি
সাজিদা ইসলাম ড্যানিছবি: privat

তার মতে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির যে প্রতিবন্ধিতা আছে, সেটা আমরা জানি৷ সেটা থেকে অধিকার বুঝে পেতে অনেক পথ বাকি বলে মত তার৷

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওকে উদ্ধৃত করে ড্যানি ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘প্রতিবন্ধিতা'সম্পন্ন ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত না করার কারণে বাংলাদেশ প্রতি বছর জিডিপির ৩ থেকে ৫ শতাংশ হারায়৷

এর কারণ হিসাবে তিনি প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকাকে দায়ী করছেন৷

তিনি বলছেন, ‘‘তাদের কিছু সহায়তা প্রয়োজন হবেই৷ একজন হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, নিউরোলোজিকাল চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন ব্যক্তি কি স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ির বাইরে একা একা যেতে পারে? আমাদের বাস সার্ভিস, আমাদের বিল্ডিং কোড, বাসা বাড়িতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো কি নেয়া হয়েছে?’’

তিনি বলেন, ‘‘সিঁড়ির জায়গায় র‌্যাম্প না করে তাদেরকে যদি বলি, তোমরা আমার সাথে দেখা করো বা বাইরে বের হয়ে আসো, সেটা কিন্তু যথাযথ হবে না৷’’

সমাধানের পথ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘তাদের চিকিৎসা, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা, অবকাঠামোগত সাপোর্ট দিতে হবে৷’’

তিনি বলেন, ‘‘আইনে যে কার্যক্রমগুলো নেয়ার কথা ছিল, সেগুলো নেয়া হয়নি৷ এর জন্য যে বরাদ্দ দরকার ছিল, সেই বরাদ্দ পাওয়া যায়নি৷ যেখানে বাজেট এসেছে, সেখানেও কাজ সঠিকভাবে করা হয়নি৷ আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে, কাজের ধরন পাল্টাতে হবে৷’’ 

নারী অধিকার

দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি নারী হলেও অধিকার বিষয়ক সচেতনতায় বহু জায়গায় এখনো পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ, এমনটাই মনে করেন দেশের অন্যতম শীর্ষ নারী অধিকার-মানবাধিকার সংগঠক খুশি কবীর৷

খুশি কবীর
খুশি কবীরছবি: privat

তার মতে, বিভিন্ন পদ-পদবিতে নারীরা এখন আগের চেয়ে অনেক এগিয়ে এসেছে৷ নির্যাতন থেকে বাঁচতে ট্রিপল নাইনের মতো ব্যবস্থাপনা নিয়ে সচেতনতা গ্রাম পর্যায়েও ছড়িয়ে গেছে৷ কিন্তু এরপরও নারী অধিকার নিয়ে আদর্শ অবস্থায় পৌঁছাতে পাড়ি দিতে হবে দীর্ঘপথ৷

তিনি বলেন, ‘‘নারীর ঘরের বাইরে কাজ করা উচিত বলে মনে করেন, তাদের অনেকেও ঘরের কাজ শুধুনারীর কাজ বলে মনে করেন৷’’

নির্যাতন হলে নারীকে দোষারোপ, আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধা সৃষ্টি, নারী শ্রমিকদের কম মজুরি দেয়া, পারিবারিক আইনে নারীকে সমান না দেখার মতো বিষয়গুলো এখনো সমাজে প্রবলভাবে রয়েছে বলে মনে করেন তিনি৷

তিনি বলেন, ‘‘বারিক আইনের কোনোটিতে উত্তরাধিকার সম্পদে নারীকে সমান অধিকার দেয়া হয়নি আবার কোনোটিতে সম্পদে সমান অধিকার দিলেও ডিভোর্সের ক্ষেত্রে সমান অধিকার দেয়া হয়নি৷''

এ সব আইনের পরিবর্তে একটি অভিন্ন অসাম্প্রদায়িক পারিবারিক আইন তৈরির দাবি করেন তিনি৷

তবে নারীকে পূর্ণ অধিকার দিতে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন খুশি কবীর৷

তিনি বলেন, ‘‘আইনে থাকলেও অনেক সময় সমাজ সম্পত্তি দিতে চায় না৷ দেখা যায়, সম্পত্তি নিতে চাইলে মা তখন তার সাথে কথা বলে না৷ সচেতনতার অনেক দূর৷ অফিসে আদালতে যৌন হয়রানিতে কী করা উচিত সেটা সে জানে না৷’’

শিশু অধিকার

মানুষের অধিকারের একটি বড় জায়গাজুড়ে রয়েছে শিশু অধিকার৷ জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদকে ভিত্তি ধরে এ বিষয়ে কথা বলেছেন সেভ দ্য চিলড্রেনের শিশু অধিকার বিষয়ক সুশাসন ও শিশু সুরক্ষা কার্যক্রমের পরিচালক আবদুল্লা আল মামুন৷

আবদুল্লা আল মামুন
আবদুল্লা আল মামুনছবি: privat

তার মতে, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ এই সনদ স্বাক্ষরের পর গত ৩২ বছরে ক্রমান্বয়ে সচেতনতা বেড়েছে৷ ‘আর্টিকেল বাই আর্টিকেল' ধারণা না থাকলেও মোটাদাগে শিশুদের অধিকার সম্পর্কে শিক্ষিতরা জানেন৷

যদিও এটা এখানো ‘মাস অ্যাওয়ারনেসের' জায়গায় পৌঁছুতে পারেনি বলে মনে করেন তিনি৷

তিনি বলেন, এখানে কিছু সাংস্কৃতিক বিষয়ও আছে৷ যেমন, অনেক অভিভাবক মনে করেন, শিশুদের একটু মারধর বা বকাঝকা  না করলে ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে না৷ এটা শিশু অধিকার সনদের সাথে একেবারে দ্বান্দ্বিক৷ পজিটিভ প্যারেন্টিংয়ের বিষয়গুলো বৈশ্বিক ক্ষেত্রে যেভাবে এসেছে, এখানে সেগুলো নগরকেন্দ্রিক রয়ে গেছে৷

শিশু অধিকার নিশ্চিতে একটা ‘কাউন্টেবিলিটি ম্যাকানিজম’ দরকার বলে উল্লেখ করেন তিনি৷

তিনি বলেন, ‘‘এখন বাংলাদেশ প্রতি ৫ বছর পর পর জাতিসংঘ শিশু অধিকার কমিটির কাছে একটা রিপোর্ট পাঠায়৷’’

তিনি স্থানীয়ভাবে বার্ষিক একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে শিশুদের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবহিদিতার আওতায় আনার দাবি করেন৷

তিনি বলেন, ‘‘এ ধরনের অভ্যন্তরীণ জবাবদিহিতা আনতে পারলে আদর্শ জায়গায় তাড়াতাড়ি পৌঁছানো যাবে৷’’

মানবাধিকার বিষয়ক সচেতনতা সম্পর্কে দেশের শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘একটা দেশের মানুষকে সচেতন করতে যে পরিবেশ দরকার হয়, বাংলাদেশে সেই পরিবেশ অনুপস্থিত৷’’

একটা দেশের মানুষকে সচেতন করতে যে পরিবেশ দরকার হয়, বাংলাদেশে সেই পরিবেশ অনুপস্থিত: নূর খান লিটন

‘‘অর্থাৎ নাগরিক অধিকার, ব্যক্তি স্বাধীনতা, জীবনের স্বাধীনতা-এর কোনোটাই সচেতন হয়ে প্রয়োগ করার স্কোপ ব্যক্তির নেই৷ যতক্ষণ না সেই পরিবেশটা আপনি তাকে দিচ্ছেন৷ অর্থাৎ, রাষ্ট্র সেই পরিবেশটা যদি নিশ্চিত না করে বা সেই রকম আবহ তৈরি না করে, তাহলে মানুষ তার যে অধিকার, সেটা জানার পরও সেটা প্রয়োগ করার জন্য বা চাওয়ার জন্য ক্ষমতা অর্জন করতে পারে না৷’’

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে এই জায়গাটিতেই আমরা সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছি৷ সবচেয়ে ‍দুর্বল অবস্থায় রয়েছি৷’’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘মোটা দাগে যেটা করতে হবে, মানবাধিকারের বিষয়ে সচেতন করতে চাইলে তাকে সেটা জানালেন, সে সচেতন হলো৷ সেটার প্রায়োগিক দিকটার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা রাষ্ট্রের ব্যবস্থা৷’’

‘‘আজ যদি বিচার ব্যবস্থার কথা বলি, সেখানে প্রচণ্ড দুর্বলতা রয়ে গেছে৷ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, সে তার কাজ করার চেষ্টা করছে বা সে যা যা করছে, সেটার কোনোটিই কিন্তু আর মানবাধিকারকে সুরক্ষা দেয়ার মতো নেই৷’’

‘‘ফলে মানুষকে আপনি যতই সচেতন করেন না কেন, মানুষ হয়ত অধিকার সম্পর্কে জানছে, মানুষ হয়ত সচেতন হচ্ছে, কিন্তু সেটা প্রয়োগ করা বা বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে একটা দুর্বলতা বা বাধা রয়ে গেছে৷ যে বাধা অতিক্রম করা না গেলে কোনোটিই ফলপ্রসু হবে না৷’’

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান