1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া

২২ সেপ্টেম্বর ২০১২

বিএনপি’র কথায় পদ্মা সেতু প্রকল্পে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা স্বীকার করেছে সরকার৷ তাই এখন তাদের কাজ হবে কারা কি দুর্নীতি করেছে, তা প্রকাশ করা৷ তবে আওয়ামী লীগ নেতারা এই প্রকল্প নিয়ে রাজনীতি না করার আহ্বান জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/16CTl
ছবি: ullstein bild - Fotoagentur imo

পদ্মা সেতু নির্মিত হলে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে বাকি অংশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে৷ এই সেতুতে রেল সংযোগও থাকবে৷ তাই পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক আবার অর্থায়নে রাজি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ওই এলাকার মানুষ বেজায় খুশি৷

ওদিকে ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিরা মনে করেন, এতে দক্ষিণের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে৷ নতুন নতুন শিল্পকারাখানা স্থাপিত হবে৷ সেখানকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে৷ বাড়বে আয়৷ দেশের অর্থনীতিতেও এই সেতু বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন এফবিসিসিআই-এর সহ সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী৷

তাই আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ মনে করেন, এই সেতু নিয়ে আর কোনো রাজনীতি করা ঠিক হবেনা৷ দেশের স্বার্থে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে৷ তিনি বলেন, দেশের মানুষের স্বার্থের কথা চিন্তা করেই সরকার পদ্মা সেতুর ব্যাপারে অনেক ছাড় দিয়েছে৷

প্রধান বিরোধী দল বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পদ্মায় বিশ্বব্যাংকের ফিরে আসাকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ তবে তিনি মনে করেন, সরকার শুরুতেই দুর্নীতির কথা স্বীকার করলে এই দশ মাস অপেক্ষা করতে হতো না৷

৬.১৫ কি.মি. দীর্ঘ প্রস্তাবিত পদ্মা সেতু পদ্মা নদীর মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে হওয়ার কথা৷এই সেতুর সরাসরি উপকারভোগী হবেন প্রায় চার কোটি মানুষ৷ নির্মাণ শুরুর তিন বছরের মধ্যে এই সেতু তৈরি হওয়ার কথা৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য