1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুসলিমদের উদ্বেগের কারণ বুঝতে পেরেছেন মাক্রোঁ

১ নভেম্বর ২০২০

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের ফলে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিষয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ৷ তবে ধর্মের নামে সহিংসতা মেনে নেওয়া হবে না বলে জানান তিনি৷

https://p.dw.com/p/3kip5
Präsident Macron im TV zur Corona-Krise
ফাইল ছবিছবি: Alexandre Marchi/Maxppp/dpa/picture alliance

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি৷

মাক্রোঁ বলেন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি যে, ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের ফলে অনেকে আঘাত পেয়েছেন৷ তবে এ আঘাত সহিংসতাকে অনুমোদন দেবে তা আমি কখনোই মেনে নেব না৷’’

গত সপ্তাহে স্কুলের এক শিক্ষককে গলা কেটে হত্যার পর নিজ দেশে ধর্ম নিরপেক্ষতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে সরব হন মাক্রোঁ৷ স্কুলের ক্লাসে মত প্রকাশের স্বাধীনতার উদাহরণ হিসেবে মহানবির ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করেছিলেন সেই শিক্ষক৷

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ‘ইসলাম ধর্ম একটি সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে' বলে মন্তব্য করেন মাক্রোঁ৷ সেই সঙ্গে এ ধরনের কার্টুন প্রকাশ বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷

তার এ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানায় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর কয়েকজন নেতা৷ ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের দাবিও উঠে বিভিন্ন দেশ থেকে৷   

সাক্ষাতকারে এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেন, ‘‘(মুসলমানদের) এ অনুভূতিকে আমি বুঝতে পারছি৷ তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধাও আছে৷ তবে এ বিষয়ে আমার ভূমিকা কী সেটি আপনাদেরও বুঝতে হবে৷ আমার ভূমিকা হলো পরিস্থিতি শান্ত করা, যা আমি এ মুহূর্তে করছি, এবং এ অধিকারগুলো নিশ্চিত করা৷ আমার দেশে স্বাধীনভাবে বলার, লেখার, চিন্তার ও আঁকার অধিকার আমি সবসময়ই রক্ষা করব৷’’

ফরাসি প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘‘তার মানে এই নয় যে, আমরা যা ভাবি, বলি, কিংবা আঁকি তার সবকিছুকেই আমি ব্যক্তিগতভাবে সমর্থন করি৷ তবে আমার বিবেচনায় স্বাধীনতা ও মানবাধিকার এবং ফ্রান্সের জনগণের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব,’’ বলেন তিনি৷

পত্রিকায় প্রকাশিত ব্যঙ্গচিত্রের বিষয়ে মাক্রোঁ বলেন, ‘‘এটি (ব্যঙ্গচিত্রটি) সরকারি কোন প্রকল্প নয়৷ একটি স্বাধীন সংবাদপত্র এটি প্রকাশ করেছে যার সাথে সরকারের কোন সম্পর্ক নেই৷’’

আরআর/এফএস (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি, এপি)