1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজসাউথ আফ্রিকা

সাউথ আফ্রিকার পরিত্যক্ত সোনার খনিতে বিস্ফোরণে নিহত ৩১

২৪ জুন ২০২৩

এক মাস আগে সাউথ আফ্রিকার সোনার খনিতে বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে৷ নিহতরা সবাই প্রতিবেশি লোসোথোর নাগরিক বলে জানা গেছে৷

https://p.dw.com/p/4T14C
Südafrika I Illegale Goldgräber unter Tage eingeschlossen
লেসোথোর হাজার হাজার শ্রমিক সাউথ আফ্রিকার সোনার খনিসহ সেখানকার প্রাকৃতিক সম্পদের অন্যান্য খনিতে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করে থাকে৷  ছবি: Kim Ludbrook/dpa/picture alliance

সাউথ আফ্রিকার একটি পরিত্যক্ত সোনার খনিতে মিথেন গ্যাসের বিস্ফোরণে ৩১ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন৷ শুক্রবার সাউথ আফ্রিকা সরকার এই তথ্য জানায়৷

জোহানেসবার্গ থেকে দুশো ৬০ কিলোমিটার দূরে ভার্জিনিয়ার একটি সোনার খনিতে একমাসেরও বেশি সময় আগে গত ১৮ জুন বিস্ফোরণের এই ঘটনা৷ কিন্তু ঘটনার একমাস পর এবিষয়ে তথ্য পায় সরকার৷ সরকারের পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে ‘অদ্ভুত' বলে দাবি করা হচ্ছে৷

অনুসন্ধানের পরিকল্পনা

দেশটির মিনারেল রিসোর্স অ্যান্ড এনার্জি বিভাগের দাবি, সোনার খনিটির ভেতরে চলাচলের জায়গায় অতিরিক্ত মাত্রায় মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি ছিল৷   

মিনারেল রিসোর্স অ্যান্ড এনার্জি বিভাগে বলছে, ‘‘এই মুহূর্তে সেখানে অনুসন্ধানী দল পাঠানোয় ঝুঁকি রয়েছে৷ তবে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা সম্ভাব্য নানা উপায় পর্যালোচনা করে দেখছি৷''  

নিহতদের সবাই প্রতিবেশি রাষ্ট্র লেসোথোর নাগরিক৷ অবশ্য লেসোথোর শ্রমিকদের সাউথ আফ্রিকার খনিতে কাজ করার বিষয়টি নতুন নয়৷ দেশটির হাজার হাজার শ্রমিক সাউথ আফ্রিকার সোনার খনিসহ সেখানকার প্রাকৃতিক সম্পদের অন্যান্য খনিতে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করে থাকে৷  

সাউথ আফ্রিকার মিনারেল রিসোর্স অ্যান্ড এনার্জি বিভাগের একজন মুখপাত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি শ্রমিকদের সহায়তায় অন্তত তিনটি মৃতদেহ খনি থেকে বের করা হয়েছে৷ সে হিসেবে খনিতে আরো ২৮ জনের মৃতদেহ রয়েছে৷''

মৃতদেহ লোসোথোতে আনার চেষ্টা

লেসোথোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে অবস্থিত সাউথ আফ্রিকার দূতাবাসকে এ বিষয়ে গত ১০ জুন অবহিত করা হয়েছে৷ কিন্তু সাউথ আফ্রিকা সরকার কেন বিষয়টি জানাতে দেরি করেছে তা বোধগম্য নয়৷

লেসোথোর প্রধানমন্ত্রীর একজন মুখপাত্র জানান, তারা সাউথ আফ্রিকার সরকারের সাথে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করতে এবং দেশে ফেরত আনতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে৷

আরআর/এআই (রয়টার্স, এএফপি, এপি)