1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্কুলে যাওয়ার অপরাধে এসিড নিক্ষেপ

হাফসা হোসাইন২৬ নভেম্বর ২০০৮

কাবুলের হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছে ১৭ বছর বয়সী আফগান তরুণী৷ স্কুলে যাওয়ার অপরাধে অ্যাসিড ছুঁড়ে তার শরীর ঝলসে দিয়েছে পাষন্ডরা৷ তার সঙ্গে অ্যাসিডদগ্ধ হয়েছে আরো বেশ কয়েকজন ছাত্রী৷

https://p.dw.com/p/G2en
আফগানিস্তানে স্কুলে যাওয়াও কি অপরাধ?ছবি: AP

অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার এই ছাত্রীদের এক সপ্তাহ আগেই স্কুলে না যাওয়ার ব্যাপারে হুঁশিয়ার করে দিয়েছিলো হামলাকারীরা৷ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী জেনারেল মোহাম্মাদ দাউদ একথা জানিয়েছেন৷

উপমন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, ওই হামলার সাথে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ এদের মধ্যে একজন হামলাকারী এবং তার দলের নেতাও রয়েছে৷ হামলার কথা স্বীকারও করেছে তারা৷

গত ১২ই নভেম্বর আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে কান্দাহার প্রদেশে স্কুলে যাওয়ার পথে অ্যাসিড হামলার শিকার হয় ১১ জন ছাত্রী এবং ৪ জন শিক্ষিকা৷ মোটর সাইকেল আরোহী দুই ব্যক্তি ওয়াটার পিস্তল দিয়ে তাদের উপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়৷ বোরকা পরে থাকায় অনেকেই মারাত্মকভাবে দগ্ধ হওয়া থেকে রক্ষা পায়৷ তবে তাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর৷

স্কুল ছাত্রীদের উপর অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় আফগানিস্তান তো বটেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় আন্তর্জাতিক মহলেও৷ আফগান কর্তৃপক্ষ বলছে, এই হামলায় তালেবান জঙ্গিরা জড়িত৷ কারণ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান শাসনামলে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো শাসকরা৷

সরকার পক্ষের একজন আইনজীবী অ্যাসিড সন্ত্রাসীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন৷ তিনি পাকিস্তান সীমানায় সক্রিয় তালেবান ও আল-কায়দা নেটওয়ার্কের উল্লেখ করে বলেছেন, কান্দাহারের ওই অ্যাসিড সন্ত্রাস উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় সংগঠিত অপরাধীদের কাজেরই একটা অংশ৷

তালেবান জঙ্গিরা অবশ্য অ্যাসিড হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ তবে আফগানিস্তানের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর হামলার জন্য সরকার বরাবরই জঙ্গিদের দায়ী করে আসছে৷ জাতিসংঘের হিসেবে, এ বছর জুন পর্যন্ত আফগানিস্তানের ২৩০ টি স্কুলে হামলা হয়েছে৷ তার মধ্যে অর্ধেকই মেয়েদের স্কুল৷