1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোশাকেই দূষণমুক্তির দাওয়াই দিলেন টোনি রায়ান

৮ অক্টোবর ২০১১

পোশাক পরেও কী পরিবেশের দূষণ কমানো যায়? যায়৷ যায়৷ কাজটা সম্ভব৷ এই হেমন্তে সেরকম পোশাক ইউরোপে এল বলে৷ বুদ্ধিটা শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টোনি রায়ানের৷

https://p.dw.com/p/12o9E
ফাইল ফটোছবি: picture-alliance/ dpa

বাতাসে কার্বন দূষণের মাত্রা কমাতে পরিচ্ছন্ন গাড়ি তৈরি করতে হিমসিম অবস্থা বিজ্ঞানীদের৷ কল কারখানার দূষণের মাত্রা কমাতে জ্বালানি থেকে যন্ত্রপাতি সবকিছুকে সবুজ প্রযুক্তির স্পর্শ নিতেই হচ্ছে৷ বিশ্বের প্রতিটি শিল্পোন্নত এবং উন্নতিশীল দেশের মাথায় এই দূষণমুক্তির চিন্তা৷

পোশাকের মাধ্যমে সে চিন্তা কিছুটা লাঘব করতে এক অভিনব বুদ্ধি নিয়ে হাজির এখন শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অফ সায়েন্সের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর, টোনি রায়ান৷ রায়ান বলছেন, পোশাকের যে তন্তু, তাতে যদি ঢুকিয়ে দেওয়া যায় দূষণমুক্তি ঘটানোর রাসায়নিক? তাহলে? রায়ান জানাচ্ছেন, এই সেই রাসায়নিক, যার নাম টিটানিয়াম ডাইঅক্সাইড৷ স্বয়ংক্রিয় পরিচ্ছন্নতার জন্য যাকে ব্যবহার করা হয়৷ যার কাজই হল ক্ষতিকারক নাইট্রোজেনকে খতম করা৷ তাছাড়া, সেই একই রাসায়নিককে আবার ব্যবহার করা যায় কাপড় কাচার সাবানের মধ্যেও৷ তাতে সাবানের দাম সামান্য একটু বাড়বে, কিন্তু চারপাশের দূষণ দিব্যি কমে আসবে নিজে নিজেই৷

বুদ্ধিটা কাজ করবে কীভাবে? আসুন ব্যাপারটাকে বোঝা যাক৷ রাস্তায় যখন গাড়ি চলে, সে গাড়ির জ্বালানি বাতাসে নাইট্রোজেন মেশাতে থাকে৷ তার ফলেই দূষণ ক্রমশ আরও আরও বেড়েই চলে৷ শেফিল্ডের উদাহরণটাই দিয়েছেন টোনি রায়ান৷ পরিসংখ্যান দিয়ে বলছেন, শেফিল্ডের চারপাশে একাধিক কলকারখানা রয়েছে৷ আর প্রতিনিয়ত পথে চলছে হাজারে হাজারে গাড়ি৷ ফলে বছরে শেফিল্ড বাতাসে মিশিয়ে দিচ্ছে ৮ হাজার টন নাইট্রোজেন অক্সাইডের দূষণ৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূষণ নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ বলছে, বছরে এই দূষণের মাত্রা এক হাজার টন কমাতেই হবে৷

টোনি রায়ান বলছেন, শেফিল্ডের মোট জনসংখ্যা পাঁচ লক্ষ৷ এই মোট জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ যদি প্রতিদিন এই বিশেষ ধরণের রাসায়নিক সমৃদ্ধ ক্যাটালিটিক পোশাক পরেন, তাহলেই বাতাসে দূষণের মাত্রা প্রচুর নেমে আসবে এবং তার জন্য কোন অতিরিক্ত ব্যবস্থা করতে হবেনা৷

গত মাসে লন্ডনে এক সভায় রায়ান তাঁর এই নতুন পোশাকের ব্যাখ্যা দিয়েছেন৷ বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও চলছে সব স্তরে৷ রায়ান উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন, কীভাবে এই প্রযুক্তি কাজ করতে পরাবে৷ আর সে কাজ পরিবেশ দূষণ কমাতে ইতিবাচক৷

আসলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার মাধ্যমেই তো ক্রমশ বৃহৎ সুবিধার সৃষ্টি হয়ে থাকে৷ টোনি রায়ানের এই অভিনব পোশাকের মাধ্যমে দূষণ কমানোর চেষ্টাটাকেও তাই সাধুবাদই জানাচ্ছে সব মহল৷ সমালোচনাও যে নেই তা নয়, তবে সেটাও তো সাফল্যের আরেক মন্ত্রই!

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য