1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস

৭ এপ্রিল ২০১২

৭ই এপ্রিল ডাব্লিউএইচও বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী৷ ১৯৫০ সাল থেকে এই দিনটিকে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়৷ এবার বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সচেতনতা সৃষ্টিতে নিয়োজিত হচ্ছে দিনটি৷

https://p.dw.com/p/14ZBM
Die Beine einer Joggerin sind am Dienstag (06.03.2012) zwischen blühenden Krokussen in einem Kieler Park zu sehen. Bei Temperaturen knapp über dem Gefrierpunkt künden die Blumen vom herannahenden Frühling. Foto: Carsten Rehder dpa/lno +++(c) dpa - Bildfunk+++
Bildergalerie Frühling Krokusse in Kielছবি: picture alliance/dpa

জনস্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি মানুষকে সচেতন করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে প্রতি বছরের ৭ই এপিল জাতীয় ও আন্তজার্তিক ভাবে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হয়৷ তার মানে, প্রত্যেক বছর ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস' উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য সেবার বা উন্নয়নের কোনো একটি অধ্যায়কে নিয়ে কাজ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ সচেতনতা সৃষ্টি থেকে শুরু করে, সরকারি পর্যায়ে কিভাবে পরিবর্তন আনা যায় – এসব বিষয় তুলে ধরে আমাদের সামনে৷

এ বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘বয়স বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য: সুস্বাস্থ্য আয়ু বাড়ায়'৷ অর্থাৎ, সারা জীবন যদি কেউ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়, তাহলে তাদের আয়ুও অন্যদের তুলনায় বেশি হবে৷ আর এ ব্যাপারেই জনমানসে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চায় ডাব্লিউএইচও বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷

বলা বাহুল্য, জন্মের পর থেকে একটি একটি দিন করে আমাদের বয়স বাড়ে৷ শৈশব থেকে কৈশর, তারুণ্য থেকে প্রৌঢ়ত্ব, আর তারপর বার্দ্ধক্য৷ একে অস্বীকার করা যেমন যায় না, তেমনি ভালোভাবে বেঁচে থাকতে হলে শরীরকে সুস্থ রাখারও কোনো বিকল্প নেই৷ তাই নিজের দেখাশোনা, ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া, মনের সঙ্গে শরীরের দিকে নজর দেওয়া খুবই জরুরি৷ আর এটা শুধু আমার বা আপনার জন্য নয়, বিশ্বের প্রতিটি মানুষের জন্যই একান্ত কর্তব্য৷

Eine Auswahl an Tabletten, aufgenommen am 30.07.2005. Foto: Heiko Wolfraum +++(c) dpa - Report+++
ওষুধ না খেয়ে ব্যায়ামের ওপর নির্ভরতা বাড়ানো উচিতছবি: picture-alliance/dpa

উল্লেখ্য, ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক পরিষদ আন্তজার্তিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের জন্য একটি সম্মেলন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়৷ তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৬ সালের জুন ও জুলাই মাসে আন্তজার্তিক স্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন গৃহীত হয়৷ পরবর্তীতে, ১৯৪৮ সালের ৭ই এপিল, আইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় আর দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে তাকে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস' হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷

স্বাভাবিকভাবেই, চিকিৎসক, মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ – সবার জন্যই এই দিবস৷ কেননা শুধুমাত্র এক অংশের সচেতনতা বৃদ্ধি করে সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়৷ এর জন্য প্রয়োজন সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা সৃষ্টি করা৷ আর সেটাই করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য