1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিতর্কিত কার্টুন

১০ সেপ্টেম্বর ২০১২

বিতর্কিত কার্টুন আঁকার দায়ে মুম্বই পুলিশ এক কার্টুনিস্টকে গ্রেপ্তার করায় দেশজুড়ে ওঠে প্রতিবাদের ঝড়৷ তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ৷ আদালত তাঁকে ১৬ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন৷

https://p.dw.com/p/1664n
ছবি: AP

বিতর্কিত কার্টুন আঁকার দায়ে কার্টুনিস্ট অসীম ত্রিবেদীকে গত শনিবার পুলিশ গ্রেপ্তার করে৷ তাঁর বিরুদ্ধে আনে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ৷ মুম্বই আদালত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৬ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন৷ এই গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে সমাজের সর্বস্তরে প্রতিবাদ ও সমালোচনার ঝড় উঠলে পুলিশ তাঁকে জামিন দিতে চায়৷ কিন্তু কার্টুনিস্ট অসীম ত্রিবেদী তা নিতে অস্বীকার করেন৷ বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তুলে না নিলে তিনি জামিন নেবেন না৷ সত্যি কথা বললে যদি দেশদ্রোহিতা হয়, তাহলে তিনি দেশদ্রোহী৷

অসীম ত্রিবেদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ডিসেম্বর মাসে মুম্বই-এ দুর্নীতি বিরোধী আন্না হাজারের অনশন সত্যাগ্রহের সময় তিনি তিনটি কার্টুন আঁকেন দুর্নীতি নিয়ে এবং তা ওয়েবসাইটে পোস্ট করেন৷ ঐ কার্টুনে তিনি নাকি সংসদ, সংবিধান এবং জাতীয় প্রতীক চিহ্নের অবমাননা করেছেন৷

শিল্পীর স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশে হস্তক্ষেপের নিন্দা করেছে নাগরিক সমাজের সর্বস্তরের মানুষ৷ ভারতের প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মনে করেন, গণতন্ত্রে অনেক কথাই বলা হয়৷ কিছু সত্য, কিছু মিথ্যা৷ এজন্য গ্রেপ্তার করার সংস্থান ভারতীয় দণ্ডবিধিতে নেই৷ সম্ভবত রাজনৈতিক চাপে পুলিশ এই কাজ করেছে৷

আন্না শিবিরের অন্যতম সদস্য কেজরিওয়ালের মতে, ‘‘যাঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছে, সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে আনছে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ৷ আর যাঁরা সংসদের ভিতরে মারপিট করছেন, সংসদে প্রশ্ন তুলতে ঘুস নিচ্ছেন, কয়লা দুর্নীতি, টেলিকম দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন, তাঁরা দেশদ্রোহী নয়৷ দেশদ্রোহী হলেন অসীম ত্রিবেদীর মত এক কার্টুনিস্ট৷ সরকারের এটা ভুল৷''

অপর আন্না সদস্য মায়াঙ্ক গান্ধীর মন্তব্য, ‘‘সরকারের এহেন কাজ সব নাগরিকের কাছে দুশ্চিন্তার বিষয়৷ অসীম ত্রিবেদীর মত এক তরুণ কার্টুনিস্ট – যাঁর মন জাতীয়তাবাদে পূর্ণ, যে তাঁর নিজস্ব পথে মত প্রকাশ করেছেন, সেটা সকলের পছন্দ নাও হতে পারে৷ কিন্তু সেজন্য সরকারের এই ধরণের ধরপাকড় অন্যায়, হাস্যকর৷''

ভারতের মতো এক গণতান্ত্রিক দেশে কার্টুন, এসএমএস, টুইটার, ফেসবুকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হতে থাকলে পুরো গণতন্ত্রের ভিতটাই কেঁপে উঠবে৷

উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে, কার্টুন কান্ডে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র৷ তাতেও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল৷ রাজ্য সরকারকে মানবাধিকার কমিশনের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য