1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মঙ্গলগ্রহের বুকে হাওয়াইয়ের মাটি

৩১ অক্টোবর ২০১২

মঙ্গলগ্রহকে ঘিরে আগ্রহে কখনো কোনো ভাটা পড়ে না৷ প্রাণের চিহ্নের খোঁজ তো চলছেই, সেই সঙ্গে এবার যোগ হলো নতুন এক আবিষ্কার৷

https://p.dw.com/p/16a7O
ছবি: dapd

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা'র মার্স রোভার যান মঙ্গলগ্রহের বুক চষে বেড়াচ্ছে৷ ‘এক্স রে ইমেজার' কাজে লাগিয়ে মার্স রোভার মঙ্গলগ্রহের মাটির ক্রিস্টল বা স্ফটিকের আণবিক কাঠামোর বিশ্লেষণ করে চলেছে৷ এই প্রথম পৃথিবীর বাইরে এই প্রক্রিয়া কাজে লাগানো হচ্ছে৷ তার ফলে প্রথম বার মাটির মধ্যে খনিজ পদার্থের বিশ্লেষণ করে মাটির এমন নমুনা পাওয়া গেছে, যার সঙ্গে অ্যামেরিকার হাওয়াই দ্বীপের মাটির আশ্চর্য মিল পাওয়া যাচ্ছে৷ তবে ঠিক মাটি নয়, আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত পাথর থেকে যে বালি তৈরি হয়, এই নমুনা ঠিক সে রকম৷

মার্স রোভার অভিযানের খনিজ যন্ত্রপাতি বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী ডেভিড ব্লেক বলেন, এই সাফল্যের পেছনে প্রায় ২২ বছরের গবেষণা ও উদ্যোগ লুকিয়ে রয়েছে৷

Curiosity Mars NASA
মার্স রোভার 'কিউরিওসিটি’ছবি: NASA/JPL-Caltech

এই আবিষ্কারের সঙ্গে মঙ্গলগ্রহে প্রাণের সম্ভাবনার বিষয়টিও জড়িয়ে রয়েছে৷ কারণ সৌরজগতে অন্য কোনো গ্রহের সঙ্গে পৃথিবীর এত মিল নেই৷ ফলে মঙ্গলগ্রহের খনিজ কাঠামোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে আরও মূল্যবান তথ্য পাওয়া যাবে বলে গবেষকরা আশা করছেন৷ কারণ মাটির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে গ্রহের ইতিহাসের ছাপ৷ কোন সময় মাটির কোন স্তর ঠিক কী অবস্থায় ছিল, তা জানতে পারলে মঙ্গলগ্রহের বিবর্তন ক্রমশঃ স্পষ্ট হয়ে উঠবে৷ বিশেষ কোনো খনিজ পদার্থের আবির্ভাবের সময়কার অবস্থা ও জলবায়ুর গতি প্রকৃতি জানা যাবে৷ বালুর ঝড়, উল্কাপাত ঘটে থাকলে খনিজ পদার্থের মধ্যেও তার চিহ্ন পাওয়া যায়৷

মার্স রোভারের হাতে সময় মাত্র দুই বছর৷ গত আগস্ট মাসে এই যান মঙ্গলগ্রহের বিষুবরেখার কাছাকাছি একটি এলাকায় অবতরণ করেছে৷ প্রায় ২৫০ কোটি ডলার মূল্যের এই অভিযানকে ঘিরে প্রত্যাশার মাত্রা কম নয়৷ সেই গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে ভাইকিং অভিযানের পর মঙ্গলগ্রহকে অবহেলা করে আসছিল নাসা৷ মার্স রোভার অভিযান থেকে সাফল্য পেতে বিজ্ঞানীরা এবার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতে এগোচ্ছেন৷ প্রথমে একটি এলাকায় তিন ধরণের পাথর পরীক্ষা করে আগামী বছর ‘মাউন্ট শার্প' নামের প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ আরেকটি এলাকায় পাঠানো হবে রোভারকে৷ সেখানে মঙ্গলগ্রহের আরো প্রাচীন মাটি পাওয়া যাবে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান