1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংস্কার আর রোহিঙ্গা নিয়ে কথা বললেন ওবামা

১৯ নভেম্বর ২০১২

মিয়ানমারের সংস্কার আরও এগিয়ে নিতে আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ মিয়ানমার সফরে গিয়ে তিনি বলেন, তার এই সফর মিয়ানমারের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি স্বীকৃতি তবে সম্মতি নয়৷ রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও কথা বলেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/16lau
U.S. President Barack Obama meets with Myanmar's President Thein Sein at Yangon Parliament building in Yangon, Myanmar, Monday, Nov. 19, 2012. Obama touched down Monday morning, becoming the first U.S. president to visit the Asian nation also known as Burma. (Foto:Carolyn Kaster/AP/dapd)
ছবি: dapd

গত এক বছরে মিয়ানমার সরকারের নীতিতে যে পরিবর্তন দেখা গেছে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে সন্তুষ্ট করেছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সফর সেই সন্তুষ্টিরই প্রমাণ৷ মিয়ানমার সফরে গিয়ে ওবামা বৈঠক করেছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট তেইন সেইনের সঙ্গে, যিনি নিজে একসময় সামরিক জান্তার অংশ ছিলেন৷ তবে তেইন সেইন যে সংস্কার কর্মসূচি শুরু করেছেন, তার প্রতি নিজের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন ওবামা৷ সফরের সময় ওবামা বার্মা এবং মিয়ানমার দুটি শব্দই ব্যবহার করেন৷

রাজধানী ইয়াঙ্গনের বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া এক ভাষণে ওবামা সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে বলেন, ‘‘এই লক্ষণীয় সফরের মাত্র শুরু হয়েছে৷ উন্নতির যে আলো দেখা যাচ্ছে সেটা যেন কোনভাবেই নিভে না যায়৷ এটাকে আরও জোরালো করতে হবে৷'' ওবামা তার বক্তব্যে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও কথা বলেন৷ রাখাইন অঞ্চলে যে কোন ধরণের সহিংসতা বন্ধের জন্য আহ্বান জানান৷ সমবেতদের উদ্দেশ্যে ওবামা বলেন, ‘‘আপনাদের মত রোহিঙ্গারাও মানুষ হিসেবে একই রকমের মর্যাদা রাখে৷ মানবতা ও এই দেশের স্বার্থে সব ধরণের উস্কানি এবং সহিংসতা বন্ধ রাখা জরুরি৷''

U.S. President Barack Obama, right, watches as Myanmar democracy activist Aung San Suu Kyi, center, greets U.S. Secretary of State Hilary Rodham Clinton at her residence in Yangon, Myanmar, Monday, Nov. 19, 2012. Obama is the first sitting U.S. president to visit the Asian nation. (Foto:Pablo Martinez Monsivais/AP/dapd)
সুচির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ওবামাছবি: dapd

উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের জন্য ইতিমধ্যে মানবাধিকার সংস্থাগুলো মিয়ানমারের তীব্র সমালোচনা করেছে৷ রোহিঙ্গা ও রাখাইন বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬৭ জন মানুষ নিহত হয়েছে৷ বহু রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার জন্য পাড়ি জমায়৷ রোহিঙ্গারা সেদেশে দশকের পর দশক ধরে বসবাস করে আসলেও মিয়ানমার সরকার তাদেরকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি৷

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মিয়ানমারের নোবেল বিজয়ী নেত্রী অং সান সু চি'র সঙ্গেও দেখা করেন৷ সু চি'র বাড়ির কাছে এরপর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা৷ এইসময় সু চি মিয়ানমারের রাজনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি এগিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন৷

আরআই/এসবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য