টিউনিশিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩২০১১ সালে আরব বসন্তের ছোঁয়ায় টিউনিশিয়ার তৎকালীন শাসক বেন আলির ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বেশিরভাগ আসনে নির্বাচিত হয়েছিল ইসলামপন্থী দল এন্নাহদা৷ তবে তারা এককভাবে সরকার গঠন করতে পারেনি৷ সঙ্গে নিতে হয়েছিল ধর্মনিরপেক্ষ ঘরানার সিপিআরসহ অন্যান্যদের৷ বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোন্সেফ মারজুকিও এই দলের৷ আর পদত্যাগী জেবালির দল এন্নাহদা৷
টিউনিশিয়ার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয় এ মাসের ৬ তারিখে নিজ বাড়ির সামনে বিরোধী নেতা শোকরি বেলাইদ খুন হবার পর থেকে৷ সরকারের সমালোচনায় তিনি বেশ উচ্চকণ্ঠ ছিলেন৷ এখনো পর্যন্ত কেউ এই হত্যার দায়িত্ব না নিলেও বিরোধীরা মনে করে, সরকার উগ্রপন্থী ইসলামিদের দমনে কঠোর না হওয়ায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে৷ এ অভিযোগে বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন করা শুরু করে৷
এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী জেবালি চেয়েছিলেন রাজনীতিবিদদের বাদ দিয়ে টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করে সমস্যার সমাধান করতে৷ কিন্তু তাঁর এ প্রস্তাবে সায় দেয়নি জেবালির দল এন্নাহদা৷ দলটি মনে করছে এর ফলে সরকারের উপর তাদের প্রভাব কমে যেতে পারে৷
এন্নাহদার নেতা রাশিদ আল গানুশি বলছেন, প্রায় ১৫টির মতো রাজনৈতিক দল চাইছে মন্ত্রিসভা গঠিত হোক রাজনীতিবিদ ও টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে৷ গানুশি এ-ও বলেছেন যে তিনি চান জেবালি ঐ মন্ত্রিসভার প্রধান থাকুন৷ উল্লেখ্য, এ মন্ত্রিসভার দায়িত্ব হবে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা৷
এদিকে প্রেসিডেন্ট মারজুকি বুধবার এন্নাহদা প্রধান গানুশির সঙ্গে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে কথা বলবেন৷ বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদেলআতিফ মেক্কি আর বিচারমন্ত্রী মুরেদ্দিনে ভিরি'র মধ্যে কেউ একজন প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বলে ধারনা করা হচ্ছে৷
রাজনৈতিক এই অনিশ্চয়তার কারণে টিউনিশিয়ার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ বিশেষ করে আরব বসন্তের পর অর্থনীতিকে চাঙা করার মতো যথেষ্ট কাজ করতে পারেনি সরকার৷ এছাড়া ইসলামপন্থিদের দৌরাত্ম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ জনগণও এখন সরকারের সমালোচনায় মুখর৷
জেডএইচ / এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)