ড.ইউনূসকে অভিনন্দন! | পাঠক ভাবনা | DW | 19.04.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

ড.ইউনূসকে অভিনন্দন!

যার জন্য বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা হলো, তাঁকে নিয়ে নানা সময়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা অকৃতজ্ঞের সামিল ছাড়া আর কিছুই নয়৷

বিশ্ব যেখানে ড.ইউনূসের কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ, অভিভূত ও কৃতজ্ঞ, যার ফলস্বরূপ তারা ড.ইউনূসকে একের পর এক সম্মাননা দিচ্ছে, সেখানে আমরা তাঁকে হেয় করছি৷ এই জন্য বাঙালিরা চিরকাল পিছিয়ে থাকবে৷ কারণ আমি উপরে যেতে চাইলেও আমার দেশের কর্তাব্যক্তিরা তা হতে দেবে না, তারই বরং আমাকে পিছন থেকে টেনে ধরবে৷ এটাই আমাদের দেশের রাজনীতি, কালচার৷ লক্ষ্য করুন – বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বিএনপি'র হরতাল, অবরোধ ও গাড়ি ভাঙচুর করে৷ দেশের সাধারণ জনগণের জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে থাকে৷ সুতরাং আমাদেরকেই সচেতন হতে হবে৷ আসুন, আমরা সবাই মিলে এই দুই দলকেই না বলি৷ এভাবেই মতামত জানিয়েছেন মো.ওবায়দুল্লাহ পিন্টু, রেইনবো শ্রোতা সংঘ, আমলা, মিরপুর, কুষ্টিয়া থেকে৷

প্রিয় ডয়েচে ভেলে, আজ ওয়েবসাইট খুলতেই চোখে পড়ল নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপর ছবিঘরটি৷ খুব ভালো লাগল৷ অধ্যাপক ইউনুস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘কংগ্রেশনাল স্বর্ণপদক' পাওয়ায় বাঙালি হিসাবে আমি গর্ব অনুভব করি৷ রবীন্দ্রনাথ এবং অমর্ত্য সেন ছাড়া তিনিই নোবেলে ভূষিত একমাত্র বাঙালি৷ আবার ইনিই একমাত্র বাঙালি, যিনি নোবেল ছাড়াও ২০০৯ সালে পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক' আর এ বছর ‘কংগ্রেশনাল স্বর্ণপদক'৷

১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত তাঁর গ্রামীণ ব্যাঙ্কের হাত ধরেই বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামের লক্ষ লক্ষ মানুষ আর্থিক সচ্ছলতার মুখ দেখেছেন৷ তাঁরই মডেল আজ বিভিন্ন দেশে অনুসৃত হচ্ছে৷ তবে আমার বিবেচনায়, এই ধরণের সর্বজনমান্য মানুষের রাজনীতির জগতে প্রবেশ করার সিদ্ধান্ত ঠিক নয়৷ কেননা, সেক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতার পরিধি ছোট হয়ে আসে এবং রাজনৈতিক কারণেই শত্রুসংখ্যা বৃদ্ধি পায়৷ ফলে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনও হয় বিড়ম্বিত৷ হয়তো সেই কারণেই অধ্যাপক ইউনুস বর্তমানে নিজ দেশে বেশ চাপের মধ্যে আছেন৷ সমৃদ্ধ ছবিঘরটি বেশ ভালো লাগল৷

একই রকম ভালো লাগল বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ ‘দক্ষিণ মেরুর বরফ গলছে আরও তাড়াতাড়ি'৷ বিস্তারিত এই নিবন্ধে অনেক বিচিত্র তথ্য জানতে পারলাম৷ যেমন, গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন না কমা সত্ত্বেও বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার কমছে৷ আবার তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার কমলেও মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে আরও তাড়াতাড়ি৷ এদিকে জাতিসংঘের আইপিসিসি ইতিপূর্বে ২০৩৫ সালের মধ্যে হিমালয়ের বিভিন্ন শৃঙ্গের উপর জমে থাকা সমস্ত বরফ গলে যাওয়ার পূর্বাভাষ দিলেও সেই পূর্বাভাষ এখন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে৷ সব মিলিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের সাম্প্রতিক গতিপ্রকৃতি বিজ্ঞানীদেরও বেশ বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলেছে৷ দেখেশুনে কবির কথাই মনে জাগে – ‘বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি!' সবাই ভালো থাকবেন৷ নমস্কার নেবেন৷ কেকা প্রধান, বিপিএইচএন, পাথরডিহি, বাগমুন্ডী, পুরুলিয়া৷

-বিস্তারিতভাবে মতামত জানানোর জন্য দু'জনকেই ধন্যবাদ৷ অন্য বন্ধুরাও লিখবেন, কেমন৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন