বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের আরেক সহযোগী ‘দৃক’ | ডিডাব্লিউ'কে জানুন | DW | 24.06.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

ডিডাব্লিউ'কে জানুন

বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের আরেক সহযোগী ‘দৃক’

জার্মান আন্তর্জাতিক সম্প্রচার কেন্দ্র ডয়চে ভেলে সম্প্রতি দৃক মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷ এই চুক্তির আওতায় দৃকের তৈরি বাংলাদেশভিত্তিক বিভিন্ন ‘মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট’ ব্যবহার করবে ডয়চে ভেলে৷

জার্মানির বন শহরে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম সম্মেলনের শেষদিন গত ১৯ জুন ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ ও দৃকের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়৷ মূলত বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন ভিডিও – যা সেখানকার মানুষের তৈরি – সেগুলো দৃকের কাছ থেকে নেবে ডয়চে ভেলে৷

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দৃকের প্রতিষ্ঠাতা ড. শহীদুল আলম বলেন, ‘‘ইউরোপে শহর এবং গ্রামের মধ্যে তেমন বিশেষ পার্থক্য না থাকলেও আমাদের দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন৷ আমাদের মূলধারার গণমাধ্যম বিভিন্ন কারণে গ্রামাঞ্চলের সংবাদের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় না৷ অথচ সেখানেই আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের বসবাস৷''

Vetragsunterzeichnung DW und Drik

দৃকের তৈরি বাংলাদেশভিত্তিক বিভিন্ন ‘মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট’ ব্যবহার করবে ডয়চে ভেলে

শহীদুল বলেন, ‘‘দু'বছর আগে আমরা ‘মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম' বিষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করি৷ এই প্রশিক্ষণে গ্রহণকারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস করেন৷ তাঁরা ‘আইপড টাচ' ব্যবহার করে ভিডিও এবং অডিও আকারে তাঁদের অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রস্তুত করেন৷ বর্তমানে আমাদের এরকম ৩৫ জন সংবাদদাতা রয়েছেন৷''

ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ এখন দৃকের সংবাদদাতাদের তৈরি এসব ভিডিও ব্যবহার করবে৷ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ‘মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট' বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর করে সন্তুষ্ট ডয়চে ভেলের এশিয়া বিভাগের প্রধান আলেকজান্ড্রার ফ্রয়েন্ড৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট যে দৃকের সঙ্গে আমাদের কর্মকাণ্ড শুরু হচ্ছে৷ আমাদের অধুনালুপ্ত রেডিও অনুষ্ঠানের শ্রোতাদের একটি বড় অংশ গ্রামাঞ্চলে ছিলেন৷ পরবর্তীতে টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রচার শুরু করি আমরা৷ এখন দৃকের প্রকল্পের মাধ্যমে আবারো গ্রামাঞ্চলের মানুষের সঙ্গে একটি যোগসূত্র তৈরি সম্ভব হবে৷''

Vetragsunterzeichnung DW und Drik

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আগতরা

বাংলা বিভাগের প্রধান দেবারতি গুহ-র কথায়, ‘‘গত প্রায় এক বছর ধরে আলাপ-আলোচনা চলছিল৷ কথা হচ্ছিল, কীভাবে ওয়েবসাইটে আরো বেশি ‘লোকাল কন্টেন্ট' দিতে পারি আমরা৷ সেক্ষেত্রে দৃকের সঙ্গে এই চুক্তি একটা ‘মাইল ফলক' বটে৷ আশা করছি বিভিন্ন ইস্যু – তা জয়বায়ু পরিবর্তন হোক অথবা মানবাধিকার সংক্রান্ত – খুব শীঘ্রই আমরা ডিডাব্লিউ ওয়েবসাইটের পাতায় তুলে ধরতে পারবো৷ তাও আবার বাংলাদেশের একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে৷''

উল্লেখ্য, ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ এপ্রিল৷ দীর্ঘদিন রেডিও অনুষ্ঠান প্রচারের পর বর্তমানে ওয়েবসাইট এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এই সম্প্রচার কেন্দ্রটি৷ অন্যদিকে, বাংলাদেশে ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তন আনতে এবং এই দেশকে ইতিবাচকভাবে বর্হিবেশ্বে তুলে ধরতে ১৯৮৯ সালের ৪ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করে দৃক৷ আলোকচিত্র গ্রন্থাগার হিসেবে কাজ শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানটি এখন ছড়িয়ে গেছে বিভিন্ন দিকে৷

নির্বাচিত প্রতিবেদন