1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা

২৯ জুলাই ২০১৩

তিন বছর বিরতির পর মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা আবার শুরু হচ্ছে৷ ওয়াশিংটনে সোম ও মঙ্গলবার প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় অংশ নিতে দুই পক্ষের কর্মকর্তারা সেখানে পৌঁছেছেন৷

https://p.dw.com/p/19Fjd
ছবি: Getty Images

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির উদ্যোগে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে ভেঙে যাওয়া আলোচনা আবারো শুরু হচ্ছে৷ সে সময় পশ্চিম তীরে ইসরায়েল অবৈধ বসতি স্থাপন চালিয়ে যাওয়ায় আলোচনা ভেস্তে গিয়েছিল৷

এদিকে, আলোচনা যেন এগোতে পারে সে লক্ষ্যে ১০৪ জন আরব কারাবন্দিকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা৷ রবিরার এ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরুর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘‘বন্দিদের ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়াটা আমার, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং বিশেষ করে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সহজ নয়৷ এটা আমি বুঝি৷ কিন্তু কখনো কখনো দেশের কল্যাণের জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়৷''

এছাড়া বৈঠক শুরুর আগে নেতানিয়াহু মন্ত্রীদের বলেন, শান্তি আলোচনা শুরু করা না গেলে ইসরায়েলকে অনেক মূল্য দিতে হবে৷

Israel's Prime Minister Benjamin Netanyahu, center, attends the weekly cabinet meeting in Jerusalem, Sunday, July 28, 2013. Netanyahu urged his skeptical coalition partners Sunday to agree to free Palestinian prisoners as part of U.S efforts to resume peace talks, calling the deal a "tough decision" that he took for the good of the country. (AP Photo/Ronen Zvulun, Pool)
প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘‘বন্দিদের ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়াটা আমার,মন্ত্রিসভার সদস্য এবং বিশেষ করে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সহজ নয়৷ এটা আমি বুঝি৷ কিন্তু কখনো কখনো দেশের কল্যাণের জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়৷''ছবি: picture-alliance/AP

তবে বন্দি মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল আসলে দুটি বিষয়ে ফিলিস্তিনের কাছ থেকে ছাড় পেতে চাইছে৷ এর একটি হলো পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন বন্ধের ফিলিস্তিনি দাবি এবং অন্যটি, সীমান্ত আলোচনার ভিত্তি হবে ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের আগের সীমান্ত৷ উল্লেখ্য, সে সময় ইসরায়েল পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেমের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল৷

অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, যে কারণে ২০১০ সালের আলোচনা ভেস্তে গিয়েছিল সেই বসতি স্থাপন প্রশ্নে এখনো ইসরায়েল ছাড় দিতে রাজি নয়৷ ফলে ওয়াশিংটনে যে আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে তা কতটা সফল হবে সেটা নিয়ে শঙ্কা রয়েই যাচ্ছে৷

ইসরায়েলের পক্ষে প্রধান আলোচক সিপি লিভনিও বলছেন আলোচনা জটিল হবে৷ তবে তিনি আশাবাদী৷

ফিলিস্তিনের পক্ষে আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন প্রধান আলোচক সায়েব এরেকাত৷

আলোচনা শেষ হতে কমপক্ষে নয়মাস লাগতে পারে৷

জেডএইচ / এসবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য