1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এনএসএ কেলেঙ্কারি

ফোল্কার ভাগেনার/এসি৮ আগস্ট ২০১৩

জার্মানির ফেডারাল গুপ্তচর বিভাগ কতদিন ধরে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএ-র সঙ্গে সহযোগিতা করছে, তা কারো জানা নেই৷ তবে ব্যাপারটায় কেউ আদৌ আশ্চর্য নয়৷ গত বেশ কয়েকটি সপ্তাহ ধরেই জার্মানিতে এ নিয়ে তীব্র আলোড়ন চলেছে৷

https://p.dw.com/p/19LLt
BERLIN, GERMANY - JULY 27: A participant holds up a picture of former NSA employee Edward Snowden with the word 'asylum' written above it at a protest gathering in front of the Brandenburg Gate against the electonic surveillance tactics of the NSA on July 27, 2013 in Berlin, Germany. The NSA scandal has been especially contentious in Germany after media reports claimed the NSA had conducted wide scale gathering of electonic data, including e-mails, of German citizens. Activists are demonstrating against the NSA in cities across Germany today. (Photo by Sean Gallup/Getty Images)
ছবি: Getty Images

জার্মান মিডিয়ায় বলা হচ্ছে যে, মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি জার্মান নাগরিকদের উপর আড়ি পাতছে এবং তাও নিয়মমাফিক৷ এই গুপ্তচরবৃত্তি নাকি বেশ কিছুদিন ধরে চলেছে৷ সবই নিরাপত্তার কল্যাণে – মিত্রদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে শোনা যাচ্ছে এ কথা৷

এমনিতে জার্মানরা ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা সম্পর্কে অতিমাত্রায় সচেতন: আদমসুমারির সময় বাড়িতে পোষ্য জীবজন্তুর সংখ্যা জিগ্যেস করলেই তারা বেঁকে বসেন৷ কিন্তু এনএসএ কেলেঙ্কারির ব্যাপারে তারা যেন নির্লিপ্ত, প্রায় উদাসীন! কেলেঙ্কারির খবর যা বেরচ্ছে, তা-তে একবার কাঁধ নাচিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছেন জার্মানরা৷ যেটুকু ঝড় উঠেছে তা ইন্টারনেটে, সেটাও চায়ের পেয়ালায় ঝড় ওঠার মতো৷ অথচ স্নোডেন এবং এনএসএ সংক্রান্ত খবরাখবরে জার্মানদের যে আগ্রহ নেই, এমন নয়৷ সেক্ষেত্রে প্রতিটি নতুন ঘটনা সম্পর্কে তারা পুরোমাত্রায় ওয়াকিবহাল৷

রাজনীতির খেলা

সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে আস্তে-আস্তে ধীরেসুস্থে সব খুঁটিনাটি প্রকাশ পাওয়ার পর – জার্মানদের সম্পর্কে কি ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে থাকে ও তা-তে জার্মান গুপ্তচর বিভাগগুলির কি ধরনের ভূমিকা আছে – এ সব কিছুই এখন রাজনীতির খেলার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ জার্মান সরকার প্রতিপদে যতোটুকু স্বীকার করার কিংবা স্বীকার করার নয়, ততটুকুই স্বীকার করে চলেছেন৷

Symbolbild Überwachung Internet Spionage Kabel
ইন্টারনেট নজরদারির প্রতীকী ছবিছবি: Fotolia/zorandim75

চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এই এনএসএ কেলেঙ্কারির মোকাবিলায় বিশেষ কৃতিত্ব দেখাতে পারেননি বলেই ভোটারদের ধারণা, কিন্তু আগামী সংসদীয় নির্বাচনের ফলাফলের উপর তার প্রভাব পড়বে না বলেই জরিপে দেখা যাচ্ছে৷ বিরোধীরা তাদের চিরন্তন দাবিতে সোচ্চার: কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত সব তথ্য খুলে পেশ করতে হবে৷

কিন্তু সর্বাধুনিক দাবিটা উঠেছে সরকারি তরফ থেকেই: গুপ্তচর বিভাগগুলির নিয়ন্ত্রণের জন্য সংসদের এক নিজস্ব প্রতিনিধি নিয়োগের দাবি উঠেছে৷ সেই প্রতিনিধির গুপ্তচর বিভাগের নথিপত্র দেখার অধিকার থাকবে৷ এ দাবি জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র সংক্রান্ত সংসদীয় পরিষদের প্রধান, ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের রাজনীতিক ভোল্ফগাং বসবাখ স্বয়ং৷ এ দাবিও কতটা লোক-দেখানো, তা বলা শক্ত, কেননা গুপ্তচর বিভাগগুলির নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সংসদীয় প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই আছে এবং সে প্রতিষ্ঠানের নথিপত্র দেখার অধিকারও আছে৷

আন্তর্জাতিক তথ্য সুরক্ষা চুক্তি?

ইন্টারনেটের যুগে রাষ্ট্র ও সরকারের আড়ি পাতার ক্ষমতা যেভাবে বেড়ে চলেছে, তা-তে একটি বিশ্বব্যাপী তথ্য সুরক্ষা চুক্তির দাবি উঠেছে বিশেষত আইনজ্ঞদের তরফ থেকে৷ কিন্তু পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে কার্বন নির্গমন সীমিত করা সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া করতেই যেখানে বছরের পর বছর লেগে যায়, সেখানে একটি তথ্য সুরক্ষা চুক্তি – তাও আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি সহ – স্বাক্ষরিত হতে কতদিন সময় লাগবে, তা কল্পনা করা যেতে পারে৷

জার্মানরা বাস্তববাদী, কাজেই তারা স্নোডেন কেলেঙ্ককারি নিয়ে অযথা মাথা ঘামাতে রাজি নন৷ অপরদিকে পরম শক্তিশালী বন্ধু তথা মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেঁকে বসলে যে জার্মানির কিছুই করার নেই, এই অনুভূতিটাও জার্মানদের পক্ষে খুব সুখকর নয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য