1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফোনালাপ প্রকাশ নিয়ে বিতর্ক

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৯ অক্টোবর ২০১৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ফোনালাপের পুরোটাই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়৷ যা নিয়ে সৃষ্টি হয় রাজনৈতিক বিতর্কের৷ তথ্যমন্ত্রী অবশ্য বলেন, এই ফোনালাপ কোনো ব্যক্তিগত বিষয় নয়৷

https://p.dw.com/p/1A7jr
Eine Samsung-Mitarbeiterin präsentiert am 11.10.2012 in Frankfurt am Main das neue Smartphone Galaxy S3 Mini (l) und das bereits im Mai eingeführte Galaxy S3. Mit dem kleineren 4-Zoll-Gerät reagiere der koreanische Hersteller auf Wünsche der Verbraucher, hieß es. Foto: Peter Zschunke/dpa (zu dpa:"Samsung forciert Wettbewerb bei mobilen Geräten" vom 11.10.2012) +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সোমবার সচিবালয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দুই নেত্রীর ফোনালাপ অবশ্যই প্রকাশ করা উচিত৷ দেশের মানুষকে জানানো উচিত যে, এই রাজনৈতিক সংকট নিয়ে তাঁরা কি কথা বলেছেন৷ এর কয়েক ঘণ্টার মাথায় মধ্যরাতের ‘বুলেটিন'-এ দেশের দুইটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার পুরো টেলিফোন সংলাপ প্রচার করে৷ সকাল নাগাদ প্রায় ৪০ মিনিটের এই ফোনালাপের অডিও পৌঁছে যায় সবগুলি টিভি চ্যানেলে৷ ছাপা হয় পত্রিকাতেও৷ বলা বাহুল্য, মঙ্গলবার সব কিছু ছাপিয়ে তাঁদের এই ফোনালাপই আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয় সারা দেশে৷ অনলাইন নিউজ পোর্টাল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম – সবখানেই ৪০ মিনিটের অডিও ক্লিপটি ছড়িয়ে যায়৷

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দুই নেত্রীর ফোনালাপ রেকর্ড এবং তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বহির্ভূত৷ এটি একটি গর্হিত কাজ৷ তিনি এর জন্য তথ্যমন্ত্রী এবং সরকারকে দায়ী করেন৷ তিনি বলেন, এই ফোনালাপ সংবাদমাধ্যমকে দিয়ে সরকার বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলতে চায়৷ সরকার সে সংলাপ নিয়ে আন্তরিক নয়, তারা যে সংলাপ চায় না, সেটাই প্রমাণ হয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলির কাছে এই ফোনালাপ সরবরাহের মধ্য দিয়ে৷ তাঁর কথায়, বিরোধী দল এখনও সংলাপ চায়৷ তবে মঙ্গলবারের হরতাল শেষ হলে সরকারকেই সংলাপের উদ্যোগ নিতে হবে৷

এদিকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু দাবি করেছেন যে, দুই নেত্রীর টেলিফোন সংলাপ কারা রেকর্ড করেছে এবং সংবাদমাধ্যমকে কারা সেটা দিয়েছে, তা তাঁর জানা নেই৷ তবে তিনি মনে করেন, দুই নেত্রীর ফোনালাপ দেশের মানুষের জানা অবশ্যই উচিত৷ এর কারণ, তাঁরা মূলত দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট এবং তার সমাধান নিয়ে কথা বলেছেন৷ এখানে গোপন এবং ব্যক্তিগত কোনো কথা থাকতে পারে না৷ তিনি বলেন, সরকার সংলাপ নিয়ে আন্তরিক৷ বরং বিএনপিই আন্তরিক নয়৷ তাই তারা হরতাল প্রত্যাহার তো করেইনি, প্রধানমন্ত্রীর সোমবারের আমন্ত্রণও গ্রহণ করেনি৷ তাই এখন তাদেরই উদ্যোগ নিতে হবে৷ আর তারা যদি এই উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা নির্বাচনের ট্রেন মিস করবে৷

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি দুই নেত্রীর ফোনালাপ নিয়ে অপপ্রচার শুরু করেছিল৷ তারা বলার চেষ্টা করেছিল, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সংলাপ নয়, নৈশ ভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু এখন পুরো টেলি-সংলাপ প্রকাশ হয়ে পড়ায়, কে কি বলেছেন তা দেশের মানুষ জানতে পারছেন৷ কার আচরণ কেমন, তাও বুঝতে পারছেন৷ বুঝতে পারছেন সংলাপ নিয়ে কে কতটুকু আন্তরিক৷

সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত দুই নেত্রীর দীর্ঘ ফোনালাপে হরতাল, সংলাপসহ নানা বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে৷ প্রাধান্য পেয়েছ ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধের বিচারসহ নানা বিষয়৷ জানা গেছে এ স সমস্ত বিষয় নিয়ে দুই নেত্রীর অবস্থানও৷ এই টেলি-সংলাপ কখনো শান্ত, কখনো বা দ্বন্দ্বমুখর৷

দুই তরফ থেকেই এই ফোনালাপ হয়েছিল মোবাইল ফোনের মাধ্যমে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য