1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আপনি জার্মান না বিদেশি?’

ডানিয়েল হাইনরিশ/এসি১৪ নভেম্বর ২০১৩

জার্মানির বড় শহরগুলোতে বাড়ি কি ফ্ল্যাট ভাড়া পাওয়া এমনিতেই দুঃসাধ্য৷ অভিবাসীদের ক্ষেত্রে সেটা আরো বেশি কঠিন৷ বিদেশি-বহিরাগতদের সম্পর্কে বাড়ির মালিকদের প্রচলিত ধারণাকে জাতিবাদের নামান্তর বলা চলে৷

https://p.dw.com/p/1AGbA
Studenten pruefen am Mittwoch, 13. Oktober 2004, in der Mensa der Universitaet Muenchen Pinwaende mit einer Masse von Zimmergesuchen und wenigen Angeboten. In Muenchen ist die Wohnungsnot der Studenten besonders gross. (AP Photo/Diether Endlicher) **zu unserem KORR. APD5911**
ছবি: AP

আইসেগুল আচার এক তুর্কি মহিলা৷ তাঁকে এক বাড়ির মালিকের কাছ থেকে স্পষ্ট শুনতে হয়েছে: ‘‘বিদেশিদের বাড়ি ভাড়া দেওয়া হবে না!'' আইসেগুলের বাস বন শহরে৷ ৩০ বছরের বেশি আগে তিনি তুরস্ক থেকে জার্মানিতে আসেন৷ এ দেশটা তাঁর ভালো লাগে, নিজের স্বদেশ বলেই মনে হয় – কিন্তু বাড়ি খোঁজার সময় নয়৷

জার্মানিতে তিনবার বাড়ি বদলেছেন আইসেগুল৷ প্রতিবারই তাঁর একই অভিজ্ঞতা হয়েছে: জার্মান বাড়িওলাদের কাছে তিনি মনপসন্দ ভাড়াটিয়া নন৷ তাঁর পদবী, জার্মান ভাষা বলার ধরন এবং চেহারা – সবই ভুল, অন্তত বাড়িওলাদের চোখে৷ একা আইসেগুলেরই এই অভিজ্ঞতা নয়৷ বিদেশি-বহিরাগতদের অধিকাংশ জার্মানিতে বাড়ি খুঁজতে গিয়ে একই বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছেন৷

অথচ জার্মানিতে ভাড়াবাড়িতে থাকাটাই স্বাভাবিক: জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক বাস করে ভাড়াবাড়িতে৷ বার্লিন অথবা হামবুর্গের মতো বড় শহর ধরলে, সেখানকার প্রতি দশজন বাসিন্দাদের মধ্যে আটজনই থাকেন ভাড়াবাড়িতে৷ বড় শহরে খালি ফ্ল্যাটের সংখ্যাও কম – বা সম্ভাব্য ভাড়াটিয়াদের সংখ্যা বেশি৷ কাজেই বাড়ির মালিকরা যাকে ইচ্ছা নিতে পারেন কিংবা বাদ দিতে পারেন, ফ্ল্যাট দিতে পারেন কিংবা নাকচ করতে পারেন৷ যে ক্ষেত্রে বিবাহবিচ্ছেদের পর সন্তানসহ একা বাসরত মহিলা, ছাত্র কিংবা কর্মহীনেরা আগেই বাদ পড়বেন বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে৷ সেই সঙ্গে যুক্ত হয় জাতিবাদ৷

হিজাব পরিহিতা মুসলিম মহিলারা এবং কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানরা বিশেষ করে এই জাতিবাদের শিকার হন: এঁদের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ি বা ফ্ল্যাট খুঁজতে গিয়ে শুনেছেন, ‘‘দুঃখিত৷ ওই ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়া হয়ে গিয়েছে৷'' আইসেগুল আচারকেও বার বার সে অজুহাত শুনে বিদায় নিতে হয়েছিল৷ শেষমেষ তাঁর বড়ছেলের মাথায় একটি আইডিয়া আসে৷ ছেলেটি ঝরঝরে জার্মান বলে৷ সেই নাম ভাঁড়িয়ে জার্মান নাম ধরে টেলিফোনে জিগ্যেস করে, ফ্ল্যাটটা ভাড়া দেওয়া হয়েছে কিনা৷ বাড়িওলা এবার এই কাল্পনিক ‘‘হের শুলৎস''-কে সত্যি কথাটাই বলেন: না, বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়নি৷

আইসেগুল অবশেষে একটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন বটে, তবে কোনো জার্মানের কাছ থেকে নয়৷ তাঁর ফ্ল্যাটটির মালিক হলেন এক স্পেনীয়৷ অর্থাৎ আইসেগুলের মতো তিনিও বিদেশি-বহিরাগত৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য