1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার ‘সুইস তথ্যাগার'

১২ ডিসেম্বর ২০১৩

গোপনে অর্থ রাখার জন্য সুইস ব্যাংকের নাম বিশ্বজুড়ে৷ এবার আপনার তথ্যগুলো নিরাপদে মজুদ করে রাখতে আল্পস পর্বতমালার ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে তথ্যের ভাণ্ডার বা তথ্যাগার গড়ে তুলেছে কয়েকটি সুইস কোম্পানি৷

https://p.dw.com/p/1AXJk
Schweiz Data Bunker
ছবি: Fabrice Coffrini/AFP/Getty Images

জেমস বন্ডের অ্যাডভেঞ্চারের জন্য উপযুক্ত স্থান সুইজারল্যান্ডের আল্পস পাহাড়ি এলাকা৷ অথচ ঐ গোপন স্থানে আপনি রাখতে পারেন আপনার সব গোপন তথ্য৷ এমনই একটি তথ্যভাণ্ডারের অবস্থান সুইজারল্যান্ডের আটিংহাউজেন নামক একটি গ্রামে৷ তবে নিরাপত্তার স্বার্থে সেটির সঠিক অবস্থান অজানা৷

কঠোর নিরাপত্তায় তথ্য ভাণ্ডার

শীতল যুদ্ধকালীন সময়ে আল্পস পর্বতমালায় ছিল সেনা ব্যারাক৷ উচ্চ প্রযুক্তি বিষয়ক কোম্পানি ‘ডেল্টালিস' সেখানে একটি তথ্য গুদাম তৈরি করেছে, যার দরজা চার টন ওজনের ইস্পাত দিয়ে তৈরি৷ ফলে পারমাণবিক হামলায়ও দরজাটি অক্ষত থেকে যেতে পারে৷ এছাড়া ঐ তথ্য ভাণ্ডারে আছে বায়োমেট্রিক স্ক্যানার আর সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী৷

১৫ হাজার বর্গমিটার আয়তনের এই তথ্য ভাণ্ডারে প্রবেশ করতে একজনকে প্রথমে তার পরিচয়পত্র হস্তান্তর করতে হয়৷ তারপর যেতে হয় বায়োমেট্রিক স্ক্যানের ভেতর দিয়ে৷ এখানেই শেষ নয়৷ এরপরও রয়েছে হাইপার-সেনসিটিভ নিরাপত্তা পোর্টালের ভেতর দিয়ে গমন এবং ইস্পাতের ঐ দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ৷

Schweiz Data Bunker
পর্বতচূড়ার ১০০০ মিটার নীচে এটির অবস্থানছবি: Fabrice Coffrini/AFP/Getty Images

পাহাড়ের ২০০ মিটার ভেতরে এবং পর্বতচূড়ার ১০০০ মিটার নীচে এটির অবস্থান৷ ২০১১ সাল থেকে এখানে তথ্য মজুদ রাখা হয়৷ সেখানকার মেশিনগুলো গ্রাহকদের অবিরাম তথ্য সংগ্রহ এবং জমা করে যাচ্ছে৷ তবে কত অর্থের বিনিময়ে এটা জানা যায়নি৷ বিদ্যুৎ চলে গেলে, ভূমিকম্প, সন্ত্রাসী হামলা কোনোভাবেই তথ্য হারিয়ে যাওয়ার ভয় নেই এখানে৷

স্নোডেনের তথ্য ফাঁস সুইস ব্যবসায়ীদের জন্য আশীর্বাদ

সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ঘটনায় তথ্য মজুদকারী কোম্পানিগুলোর ব্যবসা রমরমা হয়ে উঠেছে৷ বিশেষ করে সুইজারল্যান্ডে ৫৫টি তথ্য কেন্দ্রে ব্যবসা খুবই লাভজনক৷ ফেসবুক, স্কাইপ, গুগল, ইয়াহুর মাধ্যমে এনএসএ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যে নজরদারি করছে, এনএস এর সাবেক কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেন এই তথ্য ফাঁস করায় তথ্য মজুদকারী কোম্পানিগুলোর ব্যবসা এখন তুঙ্গে৷ সবাই এখন তথ্য মজুদ কেন্দ্রে তথ্য জমা রাখতে আগ্রহী৷

সুইস পাহাড়ে অবস্থিত আরেকটি তথ্য ভাণ্ডারের মালিক কোম্পানি ‘মাউন্ট১০' এর উপ-পরিচালক ক্রিস্টোফ ওশভাল্ড বলেন, বিশ্বের গোপনীয়তা আইন মেনে তারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের তথ্য মজুদ করে রাখছেন – যেটা এই পরিস্থিতিতে খুবই লাভজনক৷

সুইজারল্যান্ডের টেলিযোগাযোগ সংস্থার প্রধান পিটার গ্রুটার জানালেন, অন্যান্য দেশের মতো কেউ চাইলেই এখানে অন্যের তথ্য ব্যবহার করতে পারে না৷ তথ্য জানতে হলে বিচারকের অনুমতি নিতে হয়৷

সুইজারল্যান্ডের আইটি নিরাপত্তা ফার্মের প্রধান ফ্যাবিয়ান জ্যাকার বললেন, তথ্যের নিরাপত্তার জন্য এখনকার মানুষ বেশ সচেতন৷ সুইজারল্যান্ডের বাইরে থাকা অধিবাসীরা অনেকেই চাইছেন তাদের তথ্য নিজ দেশে ফিরিয়ে আনতে৷

এপিবি/জেডএইচ (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য