1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শাঁখের করাতে ইমরান খান

৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য নিজেদের মনোনীত পাঁচজনের একটি দলের প্রস্তাব দিয়েছে তেহরিক-ই-তালেবান৷ সেই দলে রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর নেতা ও সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানের নামও রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1B1xP
ছবি: Reuters

রবিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি৷ ই-মেলে পাঠানো সেই বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে যে, সরকারের সাথে আলোচনার বিষয়টি তারা বিচক্ষণতার সাথেই বিবেচনা দেখছে৷ তারা এমন একটি দল ঠিক করেছে, যে দলের সদস্যরা কেবল তালেবানের নয়, সেদেশের মুসলমানদের দৃষ্টিভঙ্গিকে দায়িত্বশীলতার সাথে সরকারের সামনে উপস্থাপন করবে এবং তা কার্যকর করতে সাহায্য করবে৷

এ বিবৃতি প্রকাশের পর ইমরান খান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তালেবানের উচিত ছিল নিজেদের দল থেকে প্রতিনিধি পাঠানো৷ তারপরও তিনি নিজ দলের সাথে আলোচনা করে ঠিক কি করণীয়, সেটা ঠিক করবেন৷ প্রসঙ্গত, ইমরান খান বরাবরই তালেবান জঙ্গিদের সঙ্গে আলোচনার পক্ষে এবং তালেবানের ঘাঁটি বলে পরিচিত পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মার্কিন ড্রোন হামলার বিপক্ষে সোচ্চার৷

Maulana Abdul Aziz
লাল মসজিদের প্রধান ইমাম মাওলানা আব্দুল আজিজছবি: picture alliance/AP Photo

তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই-এর নেতা ইমরান খান ছাড়া তালেবান প্রস্তাবিতদের মধ্যে অপর চারজন হচ্ছেন পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের লাল মসজিদের প্রধান ইমাম মাওলানা আব্দুল আজিজ, ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের তিন শীর্ষনেতা মাওলানা সামিউল হক, মুফতি কিফায়াতুল্লা এবং প্রফেসর ইব্রাহিম খান৷ শনিবার তালেবান গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এ সব নাম প্রস্তাব করা হয়৷

লাল মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল আজিজ স্থানীয় চ্যানেল দুনিয়া টিভি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এটা একটা ভালো কাজ এবং তাঁরা চান যে পাকিস্তানে শরিয়া আইন চালু হোক৷ এদিকে, মাওলানা সামিউল হক স্থানীয় চ্যানেল জিও নিউজকে জানিয়েছেন, খান বরাবরই আলোচনার পক্ষে সোচ্চার ছিলেন৷ তাই এই অবস্থান থেকে তাঁর পিছু হঠা ঠিক হবে না৷ সামিউল হক তালেবান ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক৷ সেখানে আফগান তালেবান নেতা মোল্লা ওমর এবং বেশ কয়েকজন শীর্ষ তালেবান কমান্ডার শিক্ষা গ্রহণ করেন৷

সমালোচকরা বলছেন, এর আগেও বহুবার তালেবান জঙ্গিদের সঙ্গে শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল৷ কিন্তু বরাবরই তা ব্যর্থ হয়৷

২০১৩ সালের মে মাসে ক্ষমতায় এসে তালেবানের সঙ্গে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ৷ এই প্রতিশ্রুতির পরও তালেবানের প্রাণঘাতী হামলা অব্যাহত থাকায়, গত সপ্তাহে নওয়াজ বলেছিলেন যে, শেষ সুযোগ হিসেবে শান্তি আলোচনা শুরুর জন্য একটি প্রতিনিধি দলের নাম ঘোষণা করতে পারে তালেবান৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য