সবার প্রিয় চার্লি চ্যাপলিন
মুভি দেখেন অথচ চার্লি চ্যাপলিনকে চেনেন না, দুনিয়াতে বোধ হয় এমন মানুষ পাওয়া যাবে না৷ ১৬ এপ্রিল, ২০১৪ তাঁর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী৷ ছবিঘরে থাকছে তাঁর সম্পর্কে কিছু তথ্য৷
মাথায় টুপি, হাতে ছড়ি
কালো গোঁফ, মাথায় কালো টুপি, পায়ে বড় সাইজের জুতা, পরনে বড় সাইজের প্যান্ট আর হাতে ছড়ি – এই হলো চার্লি চ্যাপলিন৷ সারা দুনিয়ার মানুষ তাঁকে এভাবেই চেনে৷
দারিদ্রতার সঙ্গে পরিচয়
১৮৮৯ সালে লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন চার্লি স্পেন্সার চ্যাপলিন৷ ছোটবেলাটা তাঁর চরম দারিদ্র্যতায় কেটেছিল বলে জানা যায়৷ চ্যাপলিনের জন্মের দুই বছরের মাথায় তাঁর বাবা-মা’র মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়৷ এরপর তাঁর মা’র নিয়মিত অর্থ আয়ের মতো কোনো কাজ ছিল না৷
‘দ্য ট্রাম্প’
২৫ বছর বয়সে ‘মেকিং এ লিভিং’ নামে চ্যাপলিন অভিনীত প্রথম ছবি মুক্তি পায়৷ একই বছরে ‘কিড অটো রেসেস অ্যাট ভেনিস’ নামে মুক্তি পাওয়া আরেক মুভিতে ‘দ্য ট্রাম্প’, বাংলায় যার অর্থ ভবঘুরে, চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি৷ চরিত্রটি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে, ১৯১৮ সালের মধ্যে চ্যাপলিন বিশ্বের অন্যতম পরিচিত এক ব্যক্তিতে পরিণত হন৷
তরুণীদের প্রতি আকর্ষণ
সুন্দরী তরুণীর প্রতি দুর্বার আকর্ষণ অনুভব করতেন চার্লি চ্যাপলিন৷ এর জন্য অ্যামেরিকায় যেমন, তেমনি তাঁর নিজের দেশ ইংল্যান্ডেও সমালোচিত হয়েছেন তিনি৷ চ্যাপলিন বিয়ে করেছেন চারবার৷ ছবিতে চ্যাপলিনের দ্বিতীয় স্ত্রী লিটা গ্রে চ্যাপলিনকে তাঁদের দুই সন্তান সহ দেখা যাচ্ছে৷
‘দ্য গ্রেট ডিক্টেটর’
১৯৪০ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে চ্যাপলিন কমেডির মাধ্যমে হিটলার ও নাৎসিদের সমালোচনা করেন৷ তবে পরবর্তীতে চ্যাপলিন জানান, ছবিটি তৈরির আগে তিনি যদি ‘কনসেনট্রেশন ক্যাম্প’-এ নির্যাতনের ভয়াবহতার আসল রূপ জানতেন, তাহলে ছবিটি নির্মাণ করতেন না৷
কমিউনিস্টদের প্রতি সহানুভূতিশীল!
এই অভিযোগে ১৯৫২ সালে ‘লাইমলাইট’ ছবির মুক্তির সময় চ্যাপলিনকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি৷ পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ছবিটি পুনরায় মুক্তি দেয়া হয়৷ সেসময় মুভিটি অস্কারও জেতে৷
শেষ ছবি
সোফিয়া লরেন ও মার্লন ব্র্যান্ডোর সঙ্গে ‘এ কাউন্টেস ফ্রম হংকং’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন চ্যাপলিন৷ তবে ১৯৬৭ সালে মুক্তি পাওয়া এই মুভিটি ব্যবসায়িকভাবে সফল হতে পারেনি৷ শেষ জীবনটা চ্যাপলিন কাটিয়েছিলেন সুইজারল্যান্ডে৷ সেখানেই তিনি ১৯৭৭ সালের ২৫ ডিসেম্বের ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন৷
এখনও সব জায়গায় চ্যাপলিন
চলচ্চিত্রের ইতিহাসে চ্যাপলিনের মতো জনপ্রিয়তা সম্ভবত আর কেউ পাননি৷ তাই তো এখনো পোস্টারে বলেন কিংবা শপিং মল অথবা অনলাইনের জগতে, সব জায়গাতেই চ্যাপলিনের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়৷