স্কটল্যান্ড: কিছু মজার তথ্য
ব্রিটেনের অংশ থাকবে কিনা – এই প্রশ্ন সামনে রেখে গণভোটে যাবে স্কটল্যান্ড৷ তার আগে স্বঘোষিত ‘বিশ্বের সেরা ছোট দেশ’ সম্পর্কে কিছু তথ্য৷
জাতীয় প্রাণী
স্কটিশ সংস্কৃতি পৌরাণিক কাহিনি আর লোকগাঁথায় ভরা৷ জাতীয় প্রাণী ইউনিকর্নও পৌরাণিক চরিত্র৷ ঘোড়ার মতো দেখতে এই প্রাণীর ছবি ছাড়া নাকি ‘স্কটিশ কোট’ হয় না৷ দ্বাদশ শতক থেকেই স্কটিশ কোটের বাহুতে ইউনিকর্নের ছবি শোভা পাচ্ছে৷ এডিনবরার হলিউড প্যালেসে গেলে ইউনিকর্নের নমুনা দেখা যাবে৷
রাজধানী
স্কটল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শহর গ্লাসগো৷ কিন্তু রাজধানী এডিনবরা৷ শান্ত এ শহরেই রয়েছে স্কটল্যান্ডের সংসদ ভবনসহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় প্রতিষ্ঠান৷
‘ফ্রিঞ্জ ফিভার’
শান্ত এডিনবরাও জেগে ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আর্ট ফেস্টিভ্যাল ‘ফ্রিঞ্জ’ এলে৷ ২৫ দিন ধরে চলে এ উৎসব৷ দু’শরও বেশি ভেন্যুতে আড়াই হাজারেরও বেশি প্রদর্শনী দেখতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসে টুরিস্ট৷ প্রায় দশ লক্ষ টিকিট বিক্রি হয় প্রতি বছর৷
শুধু হ্যারি পটারের দেশ নয়
স্কটল্যান্ডের সাহিত্য মানেই যে শুধু জে.কে রাওলিং বা রবার্ট লুইস স্টিভেনসন তা কিন্তু নয়৷ অনেকে স্কটল্যান্ডের সাহিত্যের জনক মনে করেন রবার্ট বার্নসকে৷ কেউ কেউ জাতীয় কবি হিসেবেও বার্নস ছাড়া আর কারো কথা ভাবতে পারেন না৷ প্রতি বছরের ২৫শে জানুয়ারি স্কটসরা খুব ঘটা করে ১৮ শতকের এই কবির জন্মদিন পালন করে৷
জেমস বন্ড
রূপালি পর্দাকে অনেক বড় বড় তারকা উপহার দিয়েছে স্কটল্যান্ড৷ সবার আগে আসবে শন কনারির নাম৷ আর তাঁর প্রসঙ্গ এলে জেমস বন্ড তো আসবেনই৷ প্রায় দু’দশক দাপটের সঙ্গে জেমস বন্ড চরিত্রে অভিনয় করেছেন কনারি৷ স্কটল্যান্ডের হালের তারকাদের মধ্যে রয়েছেন ‘স্টার ওয়ার্স’ খ্যাত ইউয়েন ম্যাকগ্রেগর৷
মারে ম্যানিয়া
২০১৩ সালে ৭৭ বছর পর প্রথম ব্রিটিশ খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডন জেতেন অ্যান্ডি মারে৷ ব্রিটিশরা এ নিয়ে খুব গর্ব করে৷ তবে মারে হারলে কিন্তু হয়ে যান স্কটিশ খেলোয়াড়! মারে অবশ্য টেনিসে ইতিমধ্যে বেশ কিছু সাফল্য পেয়েছেন৷
পান করে যান!
স্কটল্যান্ড অ্যালকোহলপ্রেমীদের জন্য স্বর্গ৷ স্কটসরা প্রতিবেশী ইংল্যান্ড আর ওয়েলসের মানুষদের চেয়ে অনেক বেশি মদ্যপান করেন৷ ২০১২ সালের হিসেব অনুযায়ী স্কটসরা শতকরা অন্তত ১৯ ভাগ অ্যালকোহল বেশি পান করে থাকেন৷
শিক্ষার হার
যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে গরিব এলাকা হিসেবে গণ্য হলেও, শিক্ষাক্ষেত্রে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের চেয়ে এগিয়ে স্টকল্যান্ড৷ বর্তামানে দেশটি ইউরোপের সবচেয়ে উচ্চ শিক্ষাহারসম্পন্ন দেশগুলোর কাতারে৷ ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে সেখানে৷ প্রিন্স উইলিয়ামস পড়েছেন সেন্ট অ্যান্ড্রু বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেখানে কেট মিডলটনের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর৷