1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন বিবৃতি

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে বিদেশের শক্তিগুলোর মুখাপেক্ষি হয়ে থাকার প্রবণতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাঝেমাঝেই আলোচনা হয়৷ চলতি সহিংসতার মাঝে মার্কিন বিবৃতি সেই আলোচনায় নতুন মাত্রা দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1EXO1
Bangladesch Unruhen Partei BNP Proteste gegen Polizeigewalt
ফাইল ফটোছবি: Reuters

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার এবং বাংলা ব্লগ ঘাঁটলে একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে ফুটে ওঠে৷ অনেকে বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে৷ ফলে ২০১৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পরও টিকে আছে হাসিনা সরকার৷ ভারতের বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনীতিবিদের বক্তব্যেও ইঙ্গিত সেরকমই৷

অন্যদিকে, বিএনপি জোটের মুলশক্তি হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয়দের অনেকের বিশ্বাস, বাংলাদেশে আরেকটি নির্বাচনের জন্য ভারতকে রাজি করানোর চেষ্টা করছে মার্কিনিরা৷ আর সেই চেষ্টা সফল হলে বাংলাদেশে আরেকটি নির্বাচন আসন্ন৷ যদিও তাঁর কোনো লক্ষ্য এখনো নেই৷ আর বাস্তবতার সঙ্গে এই বিশ্বাসের কতটা মিল আছে, তাও বলা কঠিন৷

সদ্য প্রকাশিত মার্কিন বিবৃতির বিভিন্ন ব্যাখ্যাও দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে৷ ক্যানাডা প্রবাসী সাংবাদিক সওগাত আলী সাগর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘...মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা ও সহিংসতায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র৷ বাস পোড়ানো, অগ্নিসংযোগকারী ডিভাইস ছুঁড়ে মারা ও ট্রেন লাইনচ্যুত করার ঘটনার মতো বিবেকবর্জিত হামলার নিন্দা জানাই আমরা৷''

সাগর লিখেছেন, ‘‘ভারতের বিজেপি সরকার শেখ হাসিনার পাশে আছে বলে জানিয়ে দিয়েছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তাদের সুর পাল্টে বিবৃতি দিয়েছে৷ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সরকার যে সুবিধাজনক অবস্থানেই আছে, ইন্দো-মার্কিন দুটো শক্তিই তা জানিয়ে দিয়েছে৷''

বলা বাহুল্য, মার্কিন বিবৃতিতে সহিংসতার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি এটাও উল্লেখ রয়েছে যে, ‘‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতিও আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা রাজনৈতিক দলগুলোকে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি চালানোর সুযোগ করে দেয়৷''

আর বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট কোনো দল বা জোট নয়, সব দলের উদ্দেশ্যে মার্কিন বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘সব দলের প্রতিও আমরা আহ্বান জানাই যে, তারা যেন তাদের নেতা-কর্মীকে যে কোনো ধরনের সহিংসতা চালানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়৷'' একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে অবশ্য লেখা হয়েছে:

বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের বিদেশমুখী মনোভাবের সমালোচনা করে ফেসবুকে সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা লিখেছেন, ‘‘জনগণকে বাদ দেয়া রাজনীতি, বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতায়, নিরীহ মানুষ পুড়ে মরবে, দেশের ক্ষতি হবে৷ সহিংসতা শুধু বিএনপি-জামায়াত নয়, অন্য শক্তিও করছে-করবে, দায় পুরোটাই বিএনপিকে নিতে হবে৷ সরকার চাপে পড়লেও ক্ষমতায় ঠিকই থেকে যাবে৷''

সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য