ধুঁকছে নেপাল, বাংলাদেশও শঙ্কায়

মঙ্গলবার রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে আনুমানিক ৭৬ কিলোমিটার দূরে, মাউন্ট এভারেস্টের কাছের অঞ্চলের মাটি, ঘর-বাড়ি কেঁপে উঠতেই সবার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার এ ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৪২ জন প্রাণ হারায়৷

২৫শে এপ্রিলের ভয়াবহ ভূমিকম্পের দাগ এখনো শুকায়নি৷ সেবারের আঘাতে ক্ষতিবিক্ষত ঘরবাড়িগুলো ভূ-কম্পনের আরেকটা ধাক্বা আর সামলাতে না পেরে মূহূর্তেই লুটিয়ে পড়ে মাটিতে৷

ভূমিকম্প শুরু হতেই ঘরবাড়ি ছেড়ে সবাই চলে আসেন খোলা আকাশের নীচে৷ অনেকেরই আর নিজের ঘরে ফেরা হয়নি৷ নিমিষে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষগুলোর ঠিকানা এখন অস্থায়ী শিবির৷

বাইরে আসতে যাঁদের দেরি হয়েছে, তাঁদের অনেকেই আটকে পড়েন ভেঙা পড়া অট্টালিকার ইট-শুড়কির নীচে৷ চাপা পড়া একজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন নেপালের এক সেনাসদস্য৷

এপ্রিলের সেই ভয়ংকর ভূমিকম্পে যে অঞ্চলগুলোর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল, ভক্তপুর তাদের একটি৷ যাঁরা বেঁচে গেছেন, এখন বেঁচে থাকার অন্যরকম এক লড়াইয়ে শামিল তাঁরা৷ ক্ষুধা নিবারণ করতে পারলেও, তৃষ্ণা মেটানোর জন্য পানি পাচ্ছেন না৷ পানিবাহী ট্রাক এলেই তাঁরা দল বেঁধে ছুটে যান ট্রাকের দিকে৷

প্রতি বছর মে মাসের এই সময়টায় বিশ্বের নানা প্রান্তের পর্বতারোহীরা এভারেস্টের শৃঙ্গে উঠতে ছুটে যান নেপালে৷ কিন্তু ২৫শে এপ্রিলের ভূমিকম্পে এভারেস্টে ১৮ জন পর্বতারোহী মারা যাওয়ায় এভারেস্টে পর্বতারোহন আপাতত বন্ধ৷ বেসক্যাম্পগুলোতে তাই কোনো শেরপার দেখা নেই৷

গত এপ্রিল মাসের মতো এবারের ভূমিকম্পের ধাক্কাও বাংলাদেশ টের পেয়েছে৷ দেয়াল ধসে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে৷ ছবির এই নারী কাঁদছেন স্বজন হারানোর বেদনায়৷