1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছে ক্যাম্বোডিয়া

২৭ নভেম্বর ২০০৯

ক্যাম্বোডিয়া শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছে৷ এক দশক আগে প্রতি এক হাজারে ৯৫ জন শিশু মারা যেত দেশটিতে৷ কিন্তু বর্তমানে তা নেমে এসে দাঁড়িয়েছে ৬০ এ৷

https://p.dw.com/p/Khdm
ছবি: Norman Jean Roy

জাতিসংঘের মিলেনিয়াম উন্নয়ন লক্ষ্য-এমডিজি এর লক্ষ্য হল দুই হাজার পনেরো সালের মধ্যে দারিদ্র্য, রোগ, ক্ষুধা এবং নিরক্ষরতা হ্রাস করা৷ এমডিজি এর আরো লক্ষ্য হল মহিলাদের ভাগ্যের উন্নতি ঘটানো এবং পরিবেশের উন্নতি সাধন৷ ক্যাম্বোডিয়ায় এসব ক্ষেত্রে বেশ অগ্রগতি ঘটেছে৷ কারণ দেশটি তার এমডিজি এর নটি লক্ষ্যে পৌঁছার চেষ্টা করছে৷ ক্যাম্বোডিয়ায় শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে কিন্তু শিশুর জন্ম দেয়ার সময় মাদের মৃত্যুর হার দেশটিতে এখনো কমে নি৷ কেন? আসুন এ সম্পর্কেই বিস্তারিত জানা যাক৷

ক্যাম্বোডিয়ার লক্ষ্য হল প্রতি এক হাজারে শিশু মৃত্যুর হার পঞ্চাশ শতাংশ হ্রাস করা৷ দেশটির নটি এমডিজি এর লক্ষ্যের মধ্যে এটি হল একটি৷

ডঃ লো ভিয়াসনাকিরি হলেন ক্যাম্বোডিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান৷ তিনি বলেন, শিশু মৃত্যুর হার কমানোর এমডিজি এর লক্ষ্য অর্জনে অগ্রগতি ঘটার কারণ হল বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকট সত্বেও নমপেন সরকার স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করে চলেছে৷ শিশু স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ দেয়ার জন্য সরকার প্রচেষ্টা করছে৷ ফলে সরকার জাতিসংঘের শিশু কল্যান তহবিল ইউনিসেফ থেকে অর্থ এবং কারিগরি সহায়তা লাভ করেছে৷

মালালে আহমাদজাই হলেন একজন মা এবং ইউনিসেফ এর একজন শিশু বিশেষজ্ঞ৷ তিনি বলেন, জাতীয় প্রতিষেধক কর্মসূচিতে ভাল পারফর্মেন্স দেখিয়েছে সরকার৷ এ ছাড়া, শিশুকে বেশি হারে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো হচ্ছে৷ এর কারণ কমিউনিটি কাজ এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোকে সাহায্য সহযোগিতা প্রদান৷

কিন্তু আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ক্যাম্বোডিয়া হয়তো এমডিজি এর কিছু লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না৷ এগুলোর মধ্যে রয়েছে শিশুর জন্ম দেয়ার সময় মাদের মৃত্যু৷ এক দশক আগে ক্যাম্বোডিয়ায় প্রতি এক লাখে চারশ ষাট জন মা মারা যেতেন শিশুর জন্মদানের সময়৷ সরকার টার্গেট করেছে এই সংখ্যা ১৪০ এ নামিয়ে আনার৷ কিন্তু এই হার নামছে না৷ ডঃ লো এ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, সরকারের টার্গেটটি খুবই উচ্চাকাংখী৷ তিনি বলেন, গ্লোবাল দৃষ্টিভঙ্গিতে এটা বলা যায় যে, শুধু ক্যাম্বোডিয়া নয় অন্যান্য আরো অনেক দেশও শিশুর জন্ম দেয়ার সময় মাদের মৃত্যুর হার কমাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে পারে নি৷

Geburt in Kambodscha
শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে কিন্তু প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর হার দেশটিতে এখনো কমে নিছবি: picture-alliance/ ZB

একটি সমীক্ষা থেকে জানা গেছে যে, ক্যাম্বোডিয়ায় যেসব মা তাদের শিশুর জন্ম দিতে মারা যান তাঁদের অর্ধেকই মৃত্যু বরণ করেছেন ব্যাপক রক্তক্ষরণে৷ অন্য পঞ্চমাংশ মারা গেছেন একলাম্পসিয়া অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপের ফলে৷ তাঁদের প্রয়োজন দ্রুত চিকিৎসা৷ দেরি হলেই মৃত্যু৷ ইউনিসেফ এর মালালে আহমাদজাই বলেন, অথচ দেখা যায় চিকিৎসা দেয়া হবে কিনা এ ব্যাপারে পরিবারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব করা হয়৷ চিকিৎসার সুযোগ লাভ এবং এর খরচ যোগানোতেও দেরি হয়ে যায়৷ চিকিৎসার মানও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷

ডঃ লো মত প্রকাশ করেন, এমডিজি এর লক্ষ্য অর্জনে ক্যাম্বোডিয়ার প্রয়োজন আরো অর্থ এবং আরো প্রশিক্ষিত স্টাফ৷ এগুলোর পরেও দেশটিকে সন্তান জন্ম দেয়ার সময় মাদের মৃত্যুর হার হ্রাসে তার লক্ষ্যমাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে৷

প্রতিবেদক: আব্দুস সাত্তার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক