1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইটালির কাছে খেলার সৌন্দর্যের চেয়ে জয়টাই আসল

৩ জুন ২০১০

এবারের বিশ্বকাপে কেমন খেলবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইটালি? আন্তর্জাতিক ফুটবলে তাদের পারফরমেন্স যা-ই হোক না কেন, কিংবা ফিফার তালিকায় তাদের অবস্থান যত নম্বরেই থাকুক না কেন, বড় আসরে ইটালি কিন্তু একটি ভিন্ন মাপের দল৷

https://p.dw.com/p/NgmT
ছবি: AP

ফুটবলের সৌন্দর্য বলতে যা বোঝায়, ইটালির খেলায় তেমন কিছু চোখে পড়ে না৷ যারা ইটালিকে সমর্থন করেন না তাদের অভিযোগ এটি৷ আর যারা সমর্থন করেন, তাদেরও যুক্তি কিন্তু ওই একই৷ এই প্রসঙ্গে ইটালির কোচ মার্সেলো লিপ্পি কয়েক দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বিনোদন যদি চান তাহলে তো সিনেমা হল কিংবা ক্যাবারে রয়েছে, সেখানেই যান৷ দিন শেষে হিসেব করা হবে কারা কয়বার বিশ্বকাপ জিতল - সেটাই৷ আসলে ইটালির ফুটবল দর্শন এটাই, খেলায় হার-জিতটাই আসল৷ কিভাবে খেলে জেতা হল সেটা মুখ্য নয়৷ তাই গত বিশ্বকাপের ফাইনালে মাতেরাজ্জি-জিদান কাহিনীর পর অনেকেই দুয়োধ্বনি দিয়েছে৷ অথচ ইটালির সমর্থকরা কিন্তু বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দেই মাতোয়ারা ছিল৷

কিন্তু এবার কি করবে ইটালি ? ৮২'তে চ্যাম্পিয়ন, ৯৪'তে রানার্স আপ আর ২০০৬'এ চ্যাম্পিয়ন - গত তিন দশকের এই হিসেবের দিকে তাকালেই বোঝা যায় বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতেই তাদের এক যুগ লেগে যাচ্ছে৷ কিন্তু তারপরও, তাতে একটা ধারাবাহিকতা রয়েছে, তাই নয় কি ? ইটালির ফুটবলের মত তাদের পারফরমেন্সটাও বোধ হয় খুব ছকে কষা!

Deutschland Fußball Fans von Schalke 04 Flash-Galerie
এবার কি করবে ইটালি ? (ফাইল ফটো)ছবি: picture alliance / dpa

যা-ই হোক, গত বিশ্বকাপের জাতীয় দলের নয় জনকে নিয়ে এবারের ২৩ সদস্যের দল গড়েছেন লিপ্পি৷ ট্যাকটিশিয়ান হিসেবে তাঁর নাম বিশ্বজোড়া৷ দল গঠনে তাঁর কাছে সবার আগে ‘ভার্সেটালিটি'৷ একেক ম্যাচে একেক কৌশলে দলকে খেলাতে চান এই কোচ৷ তাই দলে সেই সব খেলোয়াড়কে তিনি প্রাধান্য দিয়েছেন, যাঁরা বিভিন্ন পজিশনে খেলতে সক্ষম৷ এই হিসেবে দল থেকে বাদ পড়ে গেছেন রসির মত নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার৷ আবার দলে থেকে গেছেন স্ট্রাইকার ফ্যাবিও কোয়াগলিয়ারেলা৷ গোলরক্ষক হিসেবে থাকছেন বহুদিনের নির্ভরযোগ্য গিয়ানলুইগি বুফন৷ আরও থাকছেন জামব্রোতা, গাত্তুসো, গিলার্দিনোর মত পুরনো খেলোয়াড়রা৷ তবে যাকে নিয়ে লিপ্পি সবেচেয়ে বেশি সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছেন, তিনি অধিনায়ক ফ্যাবিও ক্যানাভারো৷ এক সময়ের ফিফা বর্ষসেরা এই খেলোয়াড় ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন যে, এই বিশ্বকাপের শেষেই তিনি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন৷ কিন্তু বিশ্বকাপের মত আসরে ৩৬ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারকে রাখাটা একটা বিলাসিতা বলে মনে করছেন লিপ্পির সমালোচকরা৷ তা সত্বেও, অভিজ্ঞ এই খেলোয়াড়ের ওপর আস্থা রাখতে চান মার্সেলো লিপ্পি৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ