1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনী বন্ড নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য সামনে আসছে

১৮ মার্চ ২০২৪

নির্বাচনী বন্ড নিয়ে নানান তথ্য সামনে আসছে। স্টেট ব্যাংককে পুরো তথ্য দেয়ার জন্য নির্দেশ দিলো সুপ্রিম কোর্ট।

https://p.dw.com/p/4dqJv
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কোন দল কত টাকা পেয়েছে তা সামনে এসেছে। ছবি: picture-alliance/NurPhoto/N. Kachroo

যত দিন যাচ্ছে, ততই নির্বাচনী বন্ড নিয়ে নানান চমকপ্রদ ত্য সামনে আসছে। বিজেপি এ পর্যন্ত বন্ড থেকে ছয় হাজার ৯৮৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা পেয়েছে। তৃণমূল পেয়েছে এক হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা। কংগ্রেস এক হাজার ৩৩৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আর ডিএমকে পেয়েছে ৬৫৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

একমাত্র ডিএমকে জানিয়েছে, তারা কার কাছ থেকে কত টাকা পেয়েছে। ৬৫৬ কোটির মধ্যে তারা ৫০৯ কোটি টাকা পেয়েছে লটারি কিং বলে পরিচিত স্যান্টিয়াগো মার্টিনের ফিউচার গেমিং সংস্থার কাছ থেকে। তাছাড়া সান টিভির কাছ থেকে একশ কোটি, মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাছ থেকে ১০৫ কোটি ও ইন্ডিয়া সিমেন্টের কাছ থেকে তারা ১৪ কোটি পেয়েছে।

কিন্তু অন্য কোনো দল জানায়নি, তারা কার কাছ থেকে টাকা পেয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও এই তথ্য দেয়নি স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। নির্বাচনী বন্ডের ইউনিক নম্বর তারা জানায়নি। এই ইউনিক নম্বর থেকেই জানা যাবে কোন দল কোন সংস্থার কাছ থেকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে টাকা পেয়েছে।

সোমবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটার মধ্যে স্টেট ব্যাংক যেন ইউনিক নম্বর-সহ বাকি সব তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেয় এবং কমিশনও যেন অবিলম্বে সেই তথ্য প্রকাশ করে।  পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ, প্রতিটি নির্বাচনী বন্ডের সিরিয়াল নম্বর দিতে হবে। কোন সংস্থা কোন দলকে কত টাকা দিয়েছে তার হিসাব দিতে হবে। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, কোনো তথ্য যেন গোপন না থাকে।

ডিএমকে যা বললো

তামিলনাড়ুর ক্ষমতাসীন দল ডিএমকে বলেছে, তারা স্বচ্ছ্বতার সঙ্গে সব নাম প্রকাশ করে দিয়েছে। আর যারা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তাদের অর্থ দিয়েছেন, তাদের কোনোরকম সুবিধা দেয়া হয়নি।

এর আগে এআইএডিএমকে নেতা পালানিস্বামী অভিযোগ করেছিলেন, ডিএমকে সরকার অত্যন্ত দুর্বল অনলাইন গেমিং আইন চালু করেছে। তার কারণ, তারা লটারি কিংয়ের কাছ থেকে প্রচুর টাকা পেয়েছে।

ডিএমকে নেতা টি আর বালু বলেছেন, ''স্টালিন সরকার অনেক চেষ্টা করে অনলাইন গেমিংয়ের বিরুদ্ধে আইন করেছে। তারা গেমিং কোম্পানিকে কোনো ছাড় দেয়নি। রাজ্যপাল বরং তার সম্মতি দিতে দেরি করেছেন। তিনি অনলাইন গেমিং কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন।''

বাসলুর দাবি, ''ইডি যে ৩০টি কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল, তার মধ্যে ১৪টি সংস্থা বিজেপি-কে প্রচুর পরিমাণ অর্থ দিয়েছে। এআইএডিএমকে নেতা তো তার বিরুদ্ধে একটা কথাও বলছেন না।''

বায়োকন চেয়ারম্যান যা বললেন

বায়োকনের চিফ এক্সিকিউটিভ কিরণ মজুমদার শ সোমবার বলেছেন, তার সংস্থা কোনো রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে টাকা দেয়নি। তবে তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে বন্ড কিনে অনেকগুলি রাজনৈতিক দলকে দিয়েছেন। তার মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার দলও আছে। তিনি সাদা টাকা থেকে কিছু অর্থ রাজনৈতিক দলগুলিকে দিয়েছেন মাত্র।

অভিযোগ উঠেছিল, তিনি কর্ণাটক নির্বাচনের আগে প্রতি মাসে পাঁচ কোটি টাকা করে দেবগৌড়ার দলকে দিয়েছেন। কিন্তু কিরণ বলেছেন, ''অংকটা ঠিক করুন।'' তারপর একজন মাইক্রোব্লগার বলেছেন, ''মোট অংকটা হলো ছয় কোটি।'' কিরণ বলেছেন, ''আমি সবসময় স্বচ্ছ্বতায় বিশ্বাস করি। আপনি যা দেখছেন, তা ঠিক।''

নীতিন গড়করির বক্তব্য

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি এনডিটিভির সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, ''এটা ঠিক, নির্বাচনে টাকা লাগে। প্রতিটি দলেরই টাকার দরকার হয়। এই বন্ড এই জন্য করা হয়েছিল, যাতে প্রতিটি দল বন্ডের মাধ্যমে টাকা পায়।''

গড়করির মতে, ''এই বন্ড নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও ভারতের রাজনৈতিক দলগুলির কাছে টাকা আসবে। তবে তা কালো টাকা।''

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)